ঠিক কী ঘটতে চলেছে কাশ্মীরে? চাপানউতোর চলছে গোটা দেশ জুড়েই। কেন্দ্র এই ব্যাপারে এখনও মুখ না খুললেও, এটা পরিষ্কার যে বড়সড় কিছুই ঘটতে চলেছে জম্মু ও কাশ্মীরে। নানা জল্পনা-কল্পনার মাঝেই ফের বোমা ফাটালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত, অভিনেতা অনুপম খের। টুইট করে তিনি বললেন, ‘‘কাশ্মীর নিয়ে সমাধান শুরু হয়ে গিয়েছে।’’ তবে সমাধান সূত্রটা কী, তার ইঙ্গিত দেননি অভিনেতা। উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতিতে মোদী-ঘনিষ্ঠ অনুপমের টুইট নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে নানা মহলে।
কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের সমর্থনে আগেও বহুবার মুখ খুলেছেন অনুপম খের। তাঁর স্ত্রী কিরণ খের বিজেপি সাংসদ। কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে আগেও নিজের মতামত জানিয়েছিলেন অনুপম। বর্তমান পরিস্থিতিতে ফের মুখ খুললেন তিনি। এর আগে অনুপম বলেছিলেন, কাশ্মীরের সমস্যার সমাধান তখনই সম্ভব, যখন সরকারের হস্তক্ষেপে রাজ্য থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হবে। তাঁর এ দিনের টুইটও সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে বলেই ধারণা কূটনৈতিক মহলের।
প্রসঙ্গত, গত ৬ দশকেরও বেশি সময় ধরে সাংবিধানিক ভাবে বিশেষ মর্যাদা পাচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর। সংবিধানের ৩৫ এ ধারা ৩৭০ ধারা মোতাবেক সেখানকার ভূমিপুত্র ছাড়া ভারতের আর কোনও নাগরিকের সেখানে স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার নেই। ৩৭০ ধারা অনুযায়ী জম্মু কাশ্মীরের নাগরিকরা আরও কিছু বিশেষ সুবিধা পান।
কিন্তু এই দুই ধারা বিলোপের ব্যাপারে বহুদিন ধরে সওয়াল করছে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবার। বিজেপি-র নির্বাচনী ইস্তেহারে বারবার এসেছে এই দুই ধারা বিলোপের প্রসঙ্গ। কিন্তু সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে তা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখন, কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি মনে করছে এ বার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালনে পদক্ষেপ করতে পারেন মোদী-শাহ।প্রথমে অতিরিক্ত ১০ হাজার আধাসেনা মোতায়েন, পরে নির্দেশিকা জারি করে পর্যটকদের কাশ্মীর থেকে ফেরত পাঠানো, হালে স্কুল-কলেজ-ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া, সব মিলিয়ে উপত্যকায় একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কি বড়সড় আঘাত হানতে চলেছে জঙ্গিদের উপর, নাকি ৩৫ এ অথবা ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পথেই যেতে চলেছে, সেই বিষয়টা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক বলেছেন, কোনও সিদ্ধান্ত গোপনীয় ভাবে নেওয়া হবে না। যা হবে, সংসদে আলোচনা করেই হবে।