৩৭০ ধারার অবলুপ্তির মাধ্যমে কাশ্মীরের রাহুমুক্তি ঘটল

অবশেষে ভারতের সংবিধানের দুষ্টক্ষত ৩৭০ নম্বর ধারা ও ৩৫(ক) ধারা এক মোক্ষম। ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এ অপসারিত হলো। এই ধারার বিলুপ্তির মাধ্যমে কাশ্মীরের ভারতভুক্তি সম্পূর্ণ হলো। স্বাধীনতার পরবর্তী রাজনৈতিক ইতিহাসে এটা এক বিস্ময়কর ও যুগান্তকারী ঘটনা। গত ৭০ বছর ধরে এই ৩৭০ ধারা ভারতের সংবিধানকে অপাঙ্গ করে রেখেছিল। কোনো সরকার বা নেতা-নেত্রীর সাহস হয়নি এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মৌলশক্তিকে উচ্ছেদ করার। এই কাজটি করে দেখালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী ও অমিতশাহ। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার মাত্র ৫৫ দিনে এত বড়ো একটি সাহসিক পদক্ষেপ যা তাদের দলীয় ‘সংকল্পপত্রে’ ঘোষিত হয়েছিল তা তারা করে দেখালেন।
কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কিন্তু অন্যান্য অংশের সঙ্গে এর সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অস্মিতা ছিল না। কারণ ৩৭০ ধারা। কাশ্মীরের জন্য পৃথক পতাকা, পৃথক সংবিধানের অস্তিত্ব ৩৭০ ধারায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সর্বদাই এই পতাকা ও সংবিধান কাশ্মীরের নেতা ও মানুষদের মনে একটি পৃথক সত্তার ও অধিকারের কথা মনে করিয়ে দিত। এ ছাড়া ছিল দ্বৈত নাগরিকতা। অর্থাৎ কাশ্মীরে যারা স্থায়ী অধিবাসী তারা একই সঙ্গে কাশ্মীরের নাগরিক এবং ভারতের ও নাগরিক। ৩৭০ ধারার বিলুপ্তির মাধ্যমে এই অদ্ভুত ব্যবস্থার অবসান ঘটল। ৩৭০ ধারা অবশিষ্ট ভারতের সঙ্গে যে দেওয়াল তুলে রেখেছিল তা এক লহমায় যেন বার্লিন প্রাচীরের মতন ভেঙে গেল। এই পদক্ষেপে বিরোধীরা হতচকিত ও দিশেহারা হয়ে গেছে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তারা এই ঘটনা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র আঁচ করতে পারেনি। এই কৌশলও অত্যন্ত পরিণত বুদ্ধির পরিচায়ক। মনে রাখতে হবে যে, কাশ্মীরে দীর্ঘকাল ধরে পাকিস্তান প্রক্সি’ যুদ্ধ চালিয়ে আসছে। এবং সংবিধানের ৩৭০-র সুবিধা ও সুযোগ নিয়ে স্থানীয় উগ্রপন্থীদের পাকিস্তান কাজে লাগাচ্ছিল। যুদ্ধ রক্তপাত ও হিংসা বর্জিত কূটনৈতিক বা রাজনৈতিকও হয়। কাশ্মীরের যুদ্ধক্ষেত্রে ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত একটি অহিংস রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজি’ এবং অবশ্যই তা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দিশাহীন কংগ্রেস সংসদে তা দ্বিপাক্ষিক বা আন্তর্জাতিক বিষয় করে তোলার চেষ্টা করেছিল। তাদের ব্যর্থতা করুণার উদ্রেক করে। ৩৭০ ধারার বিষয়টি কী এবং ভারতের সংবিধানে তা কীভাবে প্রক্ষিপ্ত হয়েছিল সে সম্বন্ধে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা। বুদ্ধিমান বা শিক্ষিত বহু মানুষেরও কোনো বিশেষ ধারণা ছিল বলে মনে হয় না। এর বিলুপ্তির ঘটনা ও তা নিয়ে রাজনীতির উত্তাপে ৩৭০ ধারা সম্বন্ধে সাধারণ মানুষ কিঞ্চিৎ উৎসাহী হয়েছে। অর্থাৎ ৩৭০ ধারা বলবৎ থাকতে তার মর্মার্থ আমরা বুঝতে চেষ্টা করিনি। বর্তমান সে ‘মরিয়া প্রমাণ করিল’ এরকম একটি বৈষম্যমূলক ধারা আমাদের সংবিধানে ৭০ বছর ধরে ছিল। ৩৭০ ধারা কীভাবে সংবিধানে প্রবিষ্ট হলো এবং কোন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে তা ঘটেছিল সে দীর্ঘ ইতিহাস অনুসন্ধান স্থগিত রেখে এই ধারায় কী ছিল এবং তা সাধারণ ভারতীয় নাগরিকদের কীভাবে অনধিকারের আষ্টেপৃষ্টে অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে রেখেছিল তা সংক্ষেপে বিচার করা যেতে পারে। কাশ্মীর ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবার পর রাজা হরি সিংহের প্রবল বিরোধী ও জওহরলাল নেহেরুর বন্ধু শেখ আবদুল্লার জোড়াজুড়িতে ৩৭০ ধারা গৃহীত হয়। ১৯৪৯ সালে শেখ আবদুল্লাকে খুশি করার জন্য হরি সিংহকে গদিচ্যুত করা হয়। এরজন্য নেহরু ছিলেন সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। সবার উপর অবশ্য মাউন্টব্যাটনের চাপ ছিল তীব্র। কারণ হরি সিংহই একমাত্র দেশীয় রাজা ছিলেন। যিনি ১৯৩১ সালে ইংল্যান্ডে ‘গোলটেবিল’ বৈঠকে ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি সমর্থন করেছিলেন। এর পরিণতি হিসেবে ইংরেজরা আবদুল কাদির নামে এক মোল্লার নেতৃত্বে কাশ্মীরে সাম্প্রদায়িক জেহাদ শুরু করে দিয়েছিল। শেখ আবদুল্লা এরই প্রভাবে গড়ে তোলেন মুসলিম কনফারেন্স’ দল যা বর্তমানে ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স’ নামে পরিচিত। নেহরুর কাশ্মীর বিষয়ক সচিব ছিলেন গোপাল স্বামী আয়েঙ্গার। গণপরিষদে তিনিই ৩৭০ ধারার প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। প্রায় কোনো আলোচনাই নেহরু এ বিষয়ে করতে দিলেন না। দ্রুত তা গৃহীত হয়ে যায়। কিন্তু এর বিলুপ্তি সাধনের প্রস্তাব বর্তমান সংসদে দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা আলোচিত ও ভোটাভুটি হয়েছে। তবুও সেদিন তা ছিল ‘গণতান্ত্রিক’ এবং আজ বিরোধীদের বিচারে, যার মধ্যে নেহরুর উত্তরসূরি কংগ্রেস তথা রাহুল গান্ধীও আছেন, তা বিবেচিত হলো অগণতান্ত্রিক বলে। এ এক হাস্যকর ব্যাপার!
‘পদ্ধতিগত’ ভাবে তা অগণতান্ত্রিক এই কথার আড়ালে মোদী বিরোধীরা নিজেদের প্রকৃত অবস্থান লুকিয়ে রাখতে সচেষ্ট। কারণ দলমত নির্বিশেষে ভারতের সাধারণ মানুষ কাশ্মীরের এক অবাঞ্ছিত ও অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বহুদিন আগেই রদ করতে চেয়েছিল। আজ তা কার্যকর হওয়ায় তাদের খুশির অন্ত নেই। এই অবস্থায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যদি এই ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি ও রাজ্য পুনর্গঠনের বিরোধিতা করে তবে তাদের দলের সমর্থকরাই দলে দলে নেতাদের ছেড়ে যাবে যা কংগ্রেস দলের মধ্যেই এখন দেখা যাচ্ছে। এটা গেল কাশ্মীরের বাইরে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের মনোভাবের কথা। কিন্তু দীর্ঘকাল ধরে যারা নানা অধিকার থেকে বঞ্চিত ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ভারতীয় নাগরিক হয়ে নিজ বাসভূমে পরবাসীর তকমা বহন করে চলছিল তাদের মনোভাব ও প্রতিক্রিয়াই আসল। বলা বাহুল্য জম্মু-কাশ্মীরের (লাদাক সহ) অমসুলমান নাগরিকরা বহু যুগের অগণতন্ত্র, অনৈক্য ও ধর্মীয় নির্যাতনের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পেল। বাহারি মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের কথা ভেবে যাদের প্রাণ আকুল হয়ে উঠেছে এবং যারা পদ্ধতিগত গণতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে অমোচন করছেন তারা কি আদৌ ভেবে দেখেছেন জম্মু ও লাদাখ, কাশ্মীর উপত্যকার বহু মানুষ এত বছর ধরে কোন দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ ছিল? তারা কি জানেন না। কাশ্মীর উপত্যকা থেকে সাড়ে তিন লক্ষ হিন্দু পণ্ডিতকে গৃহছাড়া করা হয়েছে? তারা আজ দিল্লির পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছে নিজ বাসভূমি হারিয়ে ? হিন্দু মেয়েদের সম্ভ্রম লুঠ করা হয়েছে? মানবাধিকারওয়ালারা কী তাদের ‘মানুষ’বলে মনে করেন না? কী উত্তর আছে তাদের কাছে? উত্তর নেই। কারণ এরা বেতনভুক জাতি-বিরোধীদের দল।
প্রশ্ন এই যে কেন জম্মু-কাশ্মীরে উপজাতি, জনজাতি, হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন বিভিন্ন ধর্মের মানুষরা শুধু ‘কাশ্মীর উপত্যকার মুসলমান রাজনীতিক দ্বারাই পরিচালিত হতে বাধ্য ছিল ? প্রশ্ন এই যে, কেন বিপুল অর্থ শুধুমাত্র কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হতো এবং যার জন্য অন্যান্য ভারতীয়দের করের বোঝা বইতে হতো তার প্রধান অংশ কাশ্মীর উপত্যকার জন্য ব্যয়িত হতো কেন? লাদাকনামক অঞ্চলটি ছিল চরম উপেক্ষিত। এই কারণেই যে এই অঞ্চলটি জওহরলাল নেহর বাতিলের খাতায় রেখেছিলেন। বলেছিলেন এমন একটি জায়গায় কী বিশেষ গুরুত্ব আছে? কারণ ‘Not a blade of grass grows there’l স্বাধীকার-পন্থীরা কি কোনো জবাব দেবেন? একথা আজ প্রকাশ্য দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে দুটি পরিবার এই ৩৭০ ধারার আড়ালে নিজেদের শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়ে এসেছে এত কাল ধরে। সেকুলারবাদী গণতন্ত্রবাদীরা কি ভেবে দেখেছেন সারা ভারতে যে Prevention of corruption Act, 1988 তা কাশ্মীরের ক্ষেত্রে কেন প্রযোজ্য নয় ? ৩৭০ ধারার আড়ালেই চলেছিল গণতন্ত্রের কবন্ধ নৃত্য। এই ৩৭০ ধারার বাধাতেই কাশ্মীরে তার। উপযুক্ত শিল্প তথা বাণিজ্য ভারতের অন্যান্য নাগরিকরা করতে পারত না। সেখানে শরিয়া আইন মানুষের বিশেষ করে মহিলাদের ফঁসের দড়ির মতো বলবৎ ছিল। এই কি ব্যক্তি স্বাধীনতা? এটাই কি গণতন্ত্রের মহিমা? এই ব্যবস্থার আড়ালেই গড়ে উঠেছে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারের পরিবারতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা। আর এই ব্যবস্থাকেই মদত দিয়ে এসেছে পাকিস্তান ও কাশ্মীরের অভ্যন্তরে তাদের শাগরেদরা।
এদের হাত ধরেই এসেছে তথাকথিত ‘আজাদি চাই’-এর স্লোগান। গোটা দেশের সঙ্গে কাশ্মীরকে মিশতে দেওয়া হয়নি। অথচ গোটা দেশের মানুষের করের টাকায় কাশ্মীরের তথাকথিত ‘স্বাধিকার’ বা। ‘অটোনমি’র মোচ্ছব চলত। নির্বাচন যে ভাবে সংঘটিত হতো তা ছিল গণতন্ত্রের ‘ক্যারিকেচার’। উগ্রপন্থীদের গুলি ও ভীতির মুখে গণতন্ত্র চৌপাট। সামান্য কিছু মানুষকে ভোটদানে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হতো। শেখ আবদুল্লার পুত্র ও পৌত্রবর্গ এতেই খুশি। কারণ লুঠপাটের রাজনীতিতে এর চেয়ে বেশি। গণতন্ত্র তাদের সহ্য হতো না। কারণ তারা একই সঙ্গে ভারতীয় নাগরিক এবং কাশ্মীরের নাগরিক (দ্বৈত নাগরিকতার আবিষ্কার)। গাছেরও খাবো, তলারও কুড়াবো। এতো ভারী মজার গণতন্ত্র। ভারতের সংবিধানের তামাক খাবো, আবার কাশ্মীরের পৃথক সংবিধানেরও ডুডুও খাবো। গণতন্ত্র প্রেমী মানবশিশুরা আজ এই ব্যবস্থা বা ধারার বিলোপ সাধনে ম্রিয়মাণ হয়ে পড়েছে। কারণ আজ কাশ্মীরে ভারতের যে কোনো প্রান্তের মানুষের কাশ্মীরে জীবন যাপনের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো। বিবাহ ও সংসারধর্ম পালন করার ক্ষেত্রেও কোনো বিধিনিষেধ রইল না। বাল্য বিবাহ প্রথা রহিত হবে। জম্মু ও লাদাখ । অঞ্চলে অমুসলমানদেরই সংখ্যাধিক্য। জম্মুতে ৬৬% এবং লাদাকে ৫৪% মানুষের জনজাতির বসবাস। আজ জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় জাতীয় পতাকা ছাড়া অন্য কোনো পতাকা উড়বে না। এতকাল কাশ্মীরের পৃথক পতাকা উড্ডীন থাকত। আজ কাশ্মীরে ভারতের সংবিধানের সমস্ত মৌলিক অধিকার সমান ভাবে সমস্ত নাগরিক উপভোগ করতে পারবে।
৩৭০ নম্বর ধারা যে অবিচার আর জটিলতায় কাশ্মীরকে মুড়ে রেখেছিল তা দ্বিজাতিতত্ত্বের চরম পরিণতি। আবদুল্লার বংশধররা ও সৈয়দ বংশীয়রা ৩৭০ ধারা ব্যবহার করে স্বার্থসিদ্ধি করে গেছেন। আমলা, ব্যবসায়ী, বিচারপতি, আইনজীবীরা এক দুর্ভেদ্য দুর্নীতি চক্রের সৃষ্টি করেছিল। এই চক্রের মাধ্যমেই এবং এদের স্বার্থে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের জন্ম। এ প্রসঙ্গে অন্য সময় আলোচনা করা যাবে। এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ও উগ্রপন্থীরা যে-কোনো নির্বাচিত সরকারকেই তাদের গোলাম করে রাখত। এই দুর্নীতিগ্রস্ত মেরুদণ্ডহীন নির্বাচিত সরকারগুলিকে এরা ব্ল্যাকমেল করে কাশ্মীরের তথা ভারতের নিরাপত্তাকে ভয়ংকর ভাবে বিপদগ্রস্ত করে তুলেছে। এই ব্যবস্থাকে যিনিই বাধা দিয়েছেন তার বিরুদ্ধেই এরা সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। এ প্রসঙ্গে জগমোহনের নাম উল্লেখ করা যায়। জগমোহন ১৯৮৪ এপ্রিল থেকে ১৯৮৯ জুলাই এবং ১৯৯০ সালের জানুরি—মে দুবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন। তার কড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা কাশ্মীরের কায়েমিস্বার্থের পক্ষে ছিল বড় বাধা। সুতরাং নানা অপবাদ ও অপমান করে তাঁকে সেখান। থেকে সরান হয়েছিল। এই প্রচেষ্টায় চন্দ্রশেখর (প্রধানমন্ত্রী), রাজীব গান্ধীর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। অপদার্থ ভারতীয় রাজনীতিকরাই কাশ্মীরের ৩৭০ ধারাকে বুক দিয়ে আগলে রেখেছিলেন।
যুগ যুগ ধরে কাশ্মীরের ‘না ঘরকা না ঘাটকা’ অবস্থা এতটাই স্থায়িত্ব পেয়েছে যে এটা স্বাভাবিকভাবেই প্রতিটি ভারতীয়েরই ভাবনা ছিল যে এই রাজনৈতিক অচলাবস্থা অবস্থা থেকে আমাদের কোনো দিনই মুক্তি হবে না। কিন্তু বর্তমান এনডিএ সরকারের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ-র এক বলিষ্ঠ সাহসিক পদক্ষেপে এক ঝটকায় অনন্য রাজনৈতিক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর ফলে কাশ্মীর আজ ভারতের অন্যান্য অঙ্গরাজ্যগুলির সঙ্গে সমান পঙক্তিতে অবস্থান করছে। রক্ষিত হলো ভারতীয় অস্মিতা।
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্ন এক নিশান, এক বিধান, এক প্রধান’ সার্থক করে কাশ্মীর আজ প্রকৃতঅর্থেই রাহুমুক্ত হলো।
পুলকনারায়ণ ধর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.