হুমকি আগে থেকেই ছিল। কিছুটা বাধ্য হয়েই ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়া হয়েছিল জেট এয়ারওয়েজের পাইলট ও ইঞ্জিনিয়ারদের। তারপরেও তাঁরা বলেছিলেন, বৈঠকে পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেবেন। সম্ভাবনা ছিল, কাজ বন্ধ করে দিতে পারেন জেটের পাইলট ও ইঞ্জিনিয়াররা। সেটাই হলো। পাইলটদের অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হলো, রবিবার রাত ১২টার পর থেকে আর কাজ করবেন না তাঁরা। ফলে রবিবার রাত ১২টার পর থেকে জেটের কোনও বিমান আর উড়বে না।
রবিবার পাইলটদের সংগঠন ন্যাশনাল অ্যাভিয়েটরস গিল্ডের প্রধান ক্যাপ্টেন করণ চোপড়া জানিয়েছেন, “রবিবার রাত ১২টার পর থেকে সবাই কাজ বন্ধ করে দেবে। কালকে মিটিং করে বিবৃতি দিয়ে সবটা জানিয়ে দেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “জেট এয়ারওয়েজের পাইলট ও ইঞ্জিনিয়াররা তিন মাসের বেতন পায়নি। এটা চলতে পারে না। যেখানে বেকারত্ব এখন নির্বাচন অন্যতম বড় বিষয়, সেখানে এই সমস্যাকে মেটাতে সরকারের উচিত পদক্ষেপ নেওয়া। যে কোনও দিন ২০ হাজারের বেশি মানুষ চাকরি হারাতে পারেন।”
এই মুহূর্তে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার দেনায় ডুবে জেট এয়ারওয়েজ। ফলে গত এক সপ্তাহ ধরে বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক বিমানের উড়ান বন্ধ করে দিয়েছে জেট কর্তৃপক্ষ। মার্চ মাসে স্টেট ব্যাঙ্কের সঙ্গে লোনের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল জেট। চুক্তি অনুযায়ী ১৫০০ কোটি টাকা লোন পাওয়ার কথা এই বিমানসংস্থার। কিন্তু সেই লোন এখনও পায়নি জেট। দু’দিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, জেটের এই সমস্যার ব্যাপারটা তারা দেখবে। ক্যাপ্টেন করণ চোপড়া জানিয়েছেন, তিন মাসের বেতন না পাওয়ার পরেও তাঁরা স্টেট ব্যাঙ্কের এই লোন আসা অবধি অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, “এ বার কিছু উত্তর পাওয়ার সময় হয়েছে। আমরা আমাদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে বারবার আবেদন করছি। কিন্তু তারপরেও কোনও উত্তর আসেনি। তাই আমরা জেটের ১১০০ পাইলটদকে অনুরোধ করেছি, রবিবার রাত ১২টার পরেই নিজেদের ইউনিফর্ম তুলে রাখতে।”
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে একাধিক বিমান ক্যান্সেল করেছেন এই সংস্থা। যার ফলে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র যাত্রীদেরকেই ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ফেরত দিতে হয়েছে জেটকে। বুধবার টাকা না পাওয়ায় ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনও কয়েক ঘণ্টার জন্য জেটকে জ্বালানী পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল।