গোয়েন্দাদের খবর অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) নেতা চন্দ্রকান্ত শর্মা ও কিস্তওয়ারে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা রাজিন্দর কুমারকে 9 এপ্রিল তারিখে হত্যা করা হয়েছিল।
ডিএনএ জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সন্ত্রাসবাদী দল জয়েশ-এ-মোহাম্মদ, যারা রাজনৈতিক নেতাদের টার্গেট করার পরিকল্পনা করছে এবং জম্মু ও কাশ্মীরে লোকসভা নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটাবার পরিকল্পনা করছে, তাদের চার সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সংস্থাগুলি নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে তথ্য প্রেরণ করেছে এবং তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছে।
চারজন সন্ত্রাসী জাহিদ হোসেন, হারুন আব্বাস ওয়ানি, ওসামা বিন জাভেদ ও নভেদ শাহকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নভেদ শাহ জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সাবেক কনস্টেবল। দ্য ডেইলি পাইওনিয়ার জানায় যে জয়েশ সন্ত্রাসীরা কিস্তওয়ার জেলার একটি বিশিষ্ট ভিএইচপি নেতা এবং বিজেপি বিধায়ককে টার্গেট করার পরিকল্পনা করছে।এদিকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এই সন্ত্রাসীদের গোপন অবস্থানের খোঁজ পেয়ে সেই সূত্র ভারতীয় সেনাবাহিনী ও কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) এবং স্থানীয় পুলিশকে জানায়, “গতকাল তারা এদের কিস্তওয়ার জেলার বানজয়ার ও পার্ববাগ এলাকায় দেখেছিল।” এই চারজন সন্ত্রাসী স্থানীয়দের কাছ থেকে সরবরাহ ইত্যাদিতে যথেষ্ট সমর্থন পাচ্ছে এবং তারা সশস্ত্র। এজেন্সিগুলি নিশ্চিত করেছে যে এই চারজন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) নেতা চন্দ্রকান্ত শর্মা, যিনি আরএসএসের সহ প্রান্ত সেবা প্রধান এবং তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা রাজিন্দর কুমারের হত্যায় সরাসরি যুক্ত ছিল। এই সন্ত্রাসীরা গত ৯ এপ্রিল তারিখে কিস্তওয়ার জেলা হাসপাতালে শর্মা ও তার পিএসওকে গুলি করে হত্যা করেছিল।
সন্ত্রাসীরা কিস্তওয়ার জেলা হাসপাতালে যেখানে শর্মাজী কাজ করতেন সেখানে হানা দেয় ও তাঁকে গুলি করে। এই হামলায় শর্মাজী গুরুতর আহত হন। সন্ত্রাসীরা শর্মাজীর পিএসওর থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। এতে একটা ঝগড়ার সৃষ্টি হয়, এবং সন্ত্রাসীরা জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের পিএসও রাজেন্দ্র কুমারকেও গুলি করে হত্যা করে। চন্দ্রকান্ত শর্মাজীকে জম্মুতে সরকারি মেডিকেল কলেজে অবিলম্বে বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হলেও, ওনাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। একটি ছোট সন্ত্রাসী গোষ্ঠী থেকে প্রাপ্ত ইনপুটগুলো অনুসরণ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জানিয়েছে যে সন্ত্রাসীরা উপত্যকায় রাজনৈতিক নেতাদের টার্গেট করেছে এবং “অস্থিরতা সৃষ্টি”-র চেষ্টা করছে। এটিও বলা হয়েছে যে জেএমএম সন্ত্রাসীদের আরেকটি গ্রুপ নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা চালানোর প্রচেষ্টা করবে। একই সন্ত্রাসী সংগঠন ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখে পুলওয়ামার আক্রমণের দাবীতে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল, যা গত এক দশকের মধ্যে কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় হামলাগুলোর মধ্যে একটা। রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিস হামলায় জড়িত সকল জয়েশ-এ-মোহাম্মদ (জেএম) এর সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা বাহিনীরা খুঁজে খুঁজে শেষ করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই বছর জম্মু ও কাশ্মীরে ৬৬ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে, তাদের ২৭ জন পাকিস্তান ভিত্তিক জয়েশ-এ-মোহাম্মদ (জেএম)-এর অন্তর্গত।
2019-05-01