পুজোর উদ্বোধন করে রাজ্যবাসীকে দীপাবলীর শুভেচ্ছা বার্তা রাজ্যপালের

ভূত চতুর্দশী র সন্ধ্যায় ব্যারাকপুর মনিরামপুরে যুবক বৃন্দের শ্যামা পুজোর উদ্বোধন করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক রাজ্যপাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নোয়াপাড়া র বিজেপি বিধায়ক সুনীল সিং, বিজেপি নেতা রবীন ভট্টাচার্য্য, বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

এদিন পুজোর উদ্বোধন করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর রাজ্যবাসী কে দীপাবলীর শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে বলেন যে” আমি রাজ্যের প্রথম সেবক হিসেবে কারুর সাথে কোন বিবাদ নিয়ে চলতে চাই না আমি সবাই কে সাথে নিয়ে চলতে চাই। পশ্চিম বঙ্গ নিজস্ব সংস্কৃতি তে সম্বৃদ্ধ একটি রাজ্য। দেশের সাথে সাথে এই রাজ্য অনেক উন্নতি করুক, রাজ্যে সর্বদা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকুক এবং রাজ্যের সকল মানুষ ভালো থাকুক এটাই আমার প্রার্থনা।”

অন্যদিকে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে আজ কালীঘাটের বাড়িতে কালীপুজোতে উপস্থিত থাকছেন রাজ্যপাল। এমনকি ভাইফোঁটাতেও উপস্থিত থাকবেন তিনি। এমনটাই সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। অবশ্য অনেকেই মনে করছেন, রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ করে রাজনীতির আঙিনায় নতুন কার্ড খেললেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যপালের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়েছে শাসকদল। শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠক হোক বা পুজোর কার্নিভালে বিতর্ক, সব মিলিয়ে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের বিতর্কে বারেবারে সরগরম হয়েছে বাংলার রাজনীতি। বারেবারেই রাজ্যের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমের সামনেই তোপ দেগেছেন ধনকড়। অনদিকে তাঁর পাল্টা প্রত্ত্যুত্তর দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আবার কথা শোনাতে ছাড়েননি তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।

তবে এই যাবতীয় বিতর্ক থেকে শত হস্ত দূরেই ছিলেন মমতা ব্যানার্জী। এবার এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালকে ভাইফোঁটায় নিমন্ত্রণের পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানালেন কালীঘাটের বাড়ির কালীপুজোতেও। অনেকেই মনে করছেন তাঁর দলের সঙ্গে যখন রাজ্যপালের বারেবারে সংঘাতের ফলে দূরুত্ব বাড়ছিল ঠিক সেই সময় মাস্টারস্ট্রোকে সৌজন্যের বার্তা দিলেন মমতা ব্যনার্জী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.