ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে ইসরোর চন্দ্রযান। চাঁদের দিকে ক্ষম এগিয়ে যাচ্ছে যানটি। এর মধ্যেই এই অভিযান নিয়ে উৎসাহীদের জন্য বিশেষ সুযোগ আনল ইসরো।
ভারতের চন্দ্র অভিযান নিয়ে যদি কোনও প্রশ্ন থাকে, তাহলে তা করা যেতে পারে ইসরোকে। সরাসরি উত্তর দেবেন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। ট্যুইটারে সেই সুযোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ইসরো। ইতিমধ্যে অনেকেই প্রশ্নও করেছেন সেখানে।
এখন পৃথিবীর চারপাশের কক্ষপথে ১৭০ কিমি বেগে ঘুরপাক খাচ্ছে মহাকাশযানটি।
জানা গিয়েছে, ২০ আগস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ল্যান্ডার, তখনই বেড়ে যাবে এর গতিবেগ। এই সময় গতি কমানোই একমাত্র কাজ হবে চন্দ্রযানের। চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সময়টা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।
পাথরের সঙ্গে ঘর্ষণে ল্যান্ডারটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চন্দ্রযানের ল্যান্ডার এবং রোভার চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে ৭ সেপ্টেম্বর। এর আগে ২ সেপ্টেম্বর ‘বিক্রম’ এবং ‘প্রজ্ঞান’ একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, এই উৎক্ষেপণের মূল উদ্দেশ্য, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর রহস্য সন্ধান করা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই দক্ষিণাংশেই মিলতে পারে জল ও জীবাশ্মের সন্ধান। চাঁদের এই অঞ্চলের মাটি কেমন, সেখানে বরফের পুরু স্তর বা তরল জলের ধারা আদৌ উপস্থিত কি না, তা খুঁজে দেখাই চন্দ্রযান-২ এর মূল কাজ। আর এই কাজেই ব্যবহৃত হবে ‘রোভার’।
২২ জুলাই, সোমবার দুপুর ২টো ৪৩ মিনিটে পাড়ি দেয় চন্দ্রায়ন-২।
চলতি মাসের ১৫ তারিখ উৎক্ষেপণের কথা ছিল চন্দ্রযানের। উৎক্ষেপণের ঠিক ৫৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ড আগে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পরে রকেটে। রকেটের একটি ভাল্ব থেকে লিক হচ্ছিল হিলিয়াম গ্যাস। ঝুঁকি নিতে চাননি বিজ্ঞানীরা। তাই উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়।
এর পর যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শুরু হয় যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতের কাজ। ওভারটাইম কাজ করে ত্রুটি সারিয়ে তোলেন ইসরোর বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদরা। শনিবার মহড়াও সম্পূর্ণ করে ইসরো।