পেট্রোল-ডিজেল ভুলে যান, রান্নার তেলে গাড়ি চালানোর উদ্যোগ নিল মোদী সরকার

জ্বালানি হিসেবে তেল কিনতে হয় বিদেশ থেকে। তাই দামও হয় অনেক বেশি। প্রত্যেকদিন বর্ধিত তেলের দামের জন্য শ্বাসরুদ্ধ অবস্থা মধ্যবিত্তের। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে চায় মোদী সরকার। তাই রান্নার তেলেই গাড়ি চালানোর বিশেষ উদ্যোগ নিল মোদী সরকার।

ইতিমধ্যেই সেই উদ্যোগ নিয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। রান্নার তেল থেকে বায়ো ডিজেল তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। দেশের ১০০টি শহরে চলবে সেই প্রক্রিয়া। এর গলে আগামিদিনে জ্বালানির জন্য কারও উপর নির্ভর করতে হবে না ভারতকে।

পেট্রোলিয়ার মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, তিনটি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে এই বায়োডিজেল তৈরির প্লান্ট তৈরি হচ্ছে। বেসরকারি সংস্থাও বায়োডিজেল প্লান্ট তৈরি করতে উৎসাহী হবে বলে মনে করছেন তিনি।

প্রথমে ৫১ টাকা প্রতি লিটার হিসেবে ওই বায়োডিজেল তৈরি হবে। পরের বছর সেটা বাড়িয়ে ৫২.৭ টাকা করা হবে। তৃতীয় বছরে হবে ৫৪.৫ টাকা প্রতি লিটার।

২০২২-এর মধ্যে জ্বালানি নিয়ে নির্ভরতা কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।তার জন্য জ্বালানি সংরক্ষণ ও বিকল্প ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন তিনি। রান্নাঘরের বাড়তি তেল থেকে তৈরি হবে সেই জ্বালানি। বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁ সেই তেল সাপ্লাই করবে।

কিছুদিন আগেই বিমান ওড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছে জৈব জ্বালানিকে৷ গত বছর নিত্যদিনের ব্যবহৃত কুকিং অয়েলকে জৈব জ্বালানিতে পরিবর্তিত করার উদ্যোগটি নেয় দেরাদুনের ইণ্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ পেট্রোলিয়াম৷

ইতিমধ্যেই ব্যবহারিক কুকিং অয়েল থেকে তৈরি জৈব জ্বালানি ব্যবহার করছে ফাস্ট ফুড সংস্থা McDonald’s৷ রির্পোটের তথ্য জানাচ্ছে, উদ্যোগটি ফাস্ট ফুড সংস্থাটিকে ৩৫,০০০ লিটার ব্যবহৃত কুকিং অয়েলকে বায়ো ডিজেলে পরিবর্তিত করতে সাহায্য করছে৷ যার ফলে বার্ষিকভাবে ৪২০,০০০ লিটার অপরিশোধিত তেল বাঁচানো সম্ভব হয়েছে৷ সম্প্রতি, খাদ্য নিয়ন্ত্রক FSSAI সমস্ত খাবারের দোকানগুলিকে কুকিং অয়েলকে পুনরায় ব্যবহার করতে নিষেধ করছে৷ পরিবর্তে সেগুলিকে জৈব জ্বালানি নির্মাতাদের কাছে সরবরাহ করার নির্দেশ দিচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.