সেকুলার সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের অনেকে ক্ষতি হয়েছে। কারণ সেকুলার ভারত সরকার ইজরায়েলের (Israel) থেকে ফিলিস্তিনকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। ফিলিস্তিনে সাথে সম্পর্ক দৃড় করে ভারতের কোনো লাভ নেই। অন্যদিকে বিশ্বের সবথেকে উন্নত টেকনিক সম্পন্ন দেশ ইজরায়েলের সাথে সম্পর্ক রেখে ভারত অনেককিছু পেতে পারে। ভারতের সেকুলার সরকার সেকুলার নীতি পালন করতে গিয়ে ফিলিস্তিনের সাথে সম্পর্ক মজবুত করতো। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর সরকার আসার পর ইজরায়েলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ইজরায়েল ও ভারতের সম্পর্ক টপ গিয়ারে রয়েছে।
সম্প্রতি যখন পাকিস্তানের বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করা হয়েছিল তখন ভারতীয় সেনা ইজরায়েলের বোমা ব্যাবহার করেছিল। এমনকি ভারতের পরিকল্পনা অনেকটা ইজরায়েলের মতো করে নেওয়া হয়েছিল।ইজরায়েলের নাগরিক ভারতের এবং ভারতীয় কালচারের মন খুলে সম্মান করে। বিশেষ করে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি ইজরায়েলে বহুবার সন্মাম ব্যাক্ত করে। ভারতে ইজরায়েলের কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন যারা মাঝে মধ্যে তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভারতীয়দের মন জয় করে নেয়।
মায়া কাদোশ ইজরায়েলের একজন কূটনীতিবিদ যিনি বহু সময় ধরে ভারতে ইজরায়েল দূতাবাসে রয়েছেন। উনি সম্প্ৰতি ভারতীয় সংস্কৃতিকে সন্মান জানিয়ে শাড়ি পড়েছিলেন। উনার এই ব্যবহারকে ভারতীয়রা খুব পছন্দ করেছেন এবং ভারতীয় সমাজ মন খুলে উনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ভারতীয়রা টুইট করে ইজরায়েলের সাথে বন্ধুত্ব বজায় রাখার কথা বলেছেন।
বতর্মানে ভারতের সরকার ইজরায়েল সাথে সম্পর্ক খুব উচ্চস্তরে রেখেছে যার জন্য ইজরায়েলও ভারতীয় কালচারকে সন্মান জানাচ্ছে। অন্যদিকে কংগ্রেস, বামপন্থীদের দ্বারা গঠিত কোনো সরকার হলে ইজরায়েলকে দূরে রেখে ফিলিস্তিনের সাথে সম্পর্ক মজবুত করতো। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেছিলেন, আমাদের সরকার কেন্দ্রে এলে আমরা ইজরায়েলের সাথে সম্পর্ক ভেঙে দেব। স্পষ্ট যে তথাকথিত সেকুলার সরকাররা ভারতকে, ভারতীয় কালচারকে, ভারতীয় সুরক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ার আগে আতঙ্কবাদ উৎপাদনকারী দেশ ফিলিস্তিনকে বেশি গুরুত্ব দেয়।