দিল্লীর দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের পাশে দাঁড়াবে ইন্ডিক কালেক্টিভ

দিল্লির দাঙ্গা,ভারতের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া হিংসাত্মক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা গুলির মধ্যে অন্যতম। দাঙ্গার কারন ? হিন্দুদের বিরুদ্ধে এবং ভারতের বিরুদ্ধে বৈদেশিক অর্থ প্রাপ্ত নানা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে অবৈধভাবে আগত একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বিদ্বেষ । এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানা দেশদ্রোহী বামপন্থী সংগঠনের এবং সন্ত্রাসী সংগঠনের মদত।

পিঁজরাতোড়…. স্বাধীন ভারত তাদের নিকট শৃঙ্খল সমান। তাই গঠিত হয়েছে তাদের অতিবাম সংগঠন। তারা ভারতের থেকে আজাদী চাইছে। এরা কিন্তু হঠাৎ করে আসে না। দীর্ঘ ব্লুপ্রিন্ট থাকে , অজস্র সন্ত্রাসী মদত থাকে। এরা ধীরে ধীরে জম্বি ভাইরাসের মতো কাজ করে। হয়ত আউট লুক বলছে তারা ডিসেম্বর মাস থেকে এক্টিভ হয়েছে কিন্তু আদৌ কি সেটা সত্য? আমি নিজে জানি যে এই ধরনের বামপন্থী বা অতিবামরা কি পরিমানে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়াতে পারে। মনে আছে PFI এর একটি সভায় একটি মেয়ে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেয়, পরে তার ইন্টারভিউ যখন নেওয়া হয় তখন সে বলেছিল যে তার পিছনে অনেক বড় সংগঠন কাজ করে , তারা যা বলে সে তা করে। তাই ভাবেন না উক্ত একটিই হঠাৎ উৎপন্ন অতিবাম সংগঠন আছে। আমার দেশকে আঘাত করার জন্য এরম হয়ত অনেক অনেক আছে। হয়ত আপনার পাড়া বা বাড়ির পাশেই আছে। চোখ কান সজাগ রাখুন। এরম কিছু দেখলে দলবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদে নামুন ,তাদের রুখে দিন। জানবেন #একতাইবল।

প্রসঙ্গত দিল্লীতে ভোটের পূর্ব থেকেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর বিশেষ প্রচেষ্টা চলছিল। যার ফল ছিল শাহীনবাগ। ক্রমাগত সেখানে হিন্দু এবং দেশ বিরোধী স্লোগান উঠেছিল। সেখানে CAA , NRC এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ছিল লোক দেখানো।
দিল্লীর জনগন হয়ত অন্ধ ছিল তাই ভোটে নিজেদের মৃত্যুকে আবাহন করেছিল।

ভোট মেটার পর থেকেই দিল্লী ক্রমশ অশান্ত হতে শুরু করে। ভয়ঙ্কর অবস্থা হয় আমেরিকার রাষ্ট্রপতি যেদিন আসেন। উক্ত ব্যক্তি এবং সংগঠনগুলি ক্রমাগত দাঙ্গার সৃষ্টি করে , নানা ধরনের অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে।

আপ নেতা তাহিরের গৃহে এই দাঙ্গার সময় প্রায় 400 লোক জড়ো হয়েছিল । সেই গৃহের সামনে দিয়ে যে গেছে তাকেই তুলে নিয়ে কোপানো হয় ।এই দাঙ্গায় তাহির , বামপন্থী ছাত্র উমর খালিদ প্রমুখের প্রত্যক্ষ মদত ছিল।

পরোক্ষ ভাবে সাবা নকভি, জাভেদ আখতার , স্বরা ভাস্কর প্রমুখের মদত কাজ করে। এক পুলিশ এবং এক আইবি অফিসার সহ দিল্লীর দাঙ্গার বলি হন 42 জন সাধারণ মানুশ ইং 170 জনের উপর মানুষ গুরুতর আহত হন।

ক্রমাগত নানা বামপন্থী এবং দুএকটি চিতার আগুনে রুটি সেঁকা রাজনৈতিক দল ও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর মদতে দিল্লী আজ জতুগৃহ হয়েছে। আজ দিল্লী ও সিরিয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

এই জতুগৃহে দগ্ধ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চলেছে ইন্ডিক কালেক্টিভ বলে একটি সংগঠন। দাঙ্গায় ক্ষতি গ্রস্থ হিন্দুদের আর্থিক ও আইনি সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.