কাশ্মীরে ভারতের হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্ট নিয়ে রীতিমত চিন্তায় রয়েছে পাকিস্তান। এতে পাকিস্তান জল সঙ্কটে পড়ে যাবে বলে মনে করছে সেদেশের প্রশাসনিক কর্তারা। এ প্রসঙ্গে সিন্ধু জল কমিশনের এক প্রাক্তন সদস্য তথা পাকিস্তানের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ভারত যদি এই প্রজেক্টে সফল হয়, তাহলে পাকিস্তানের জলের উপর ভারতের অধিকার তৈরি হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা পাকিস্তানের জন্য একটা বড়সড় সতর্কবার্তা। এইজন্যই নরেন্দ্র মোদী তিন মাস আগে বলেছিলেন, রক্ত আর জল একসঙ্গে বইতে পারে না।
ভারতের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। পাশাপাশি পাকিস্তানের জল নিরাপদ করতে না পারার জন্য পাকিস্তানের প্রাক্তন ও বর্তমান সরকারকেও দোষারোপ করেছেন তিনি। গত বছরের শেষের দিকে চেনাব নদীর উপর ১৫ বিলিয়ন ডলারের এই প্রজেক্টে তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করছে ভারত। এই প্রজেক্ট নিয়ে আপত্তি তুলেছিল ইসলামাবাদ।
তাদের দাবি ছিল, পাকিস্তানে বয়ে যাওয়া নদীর উপর এই প্রজেক্ট সেদেশের জলের যোগানে বাধা দেবে। দীর্ঘদিন ধরে থেমে ছিল এই প্রজেক্টের কাজ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে এই কাজ তরান্বিত হচ্ছে। গত বছরেই মোদী সরকার বলে, পাকিস্তানের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা সেই শর্তে জল দেওয়ার বিষয়টা দেখবে পাকিস্তান। এর আগেও পাকিস্তান এই ধরনের প্রজেক্টে আপত্তি তুলেছে। তাদের দাবি, এগুলো সিন্ধু চুক্তিতে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের নিয়ম লঙ্ঘন করে। কারণ এই সিন্ধু নদের উপরেই ৮০ শতাংশ কৃষিকাজ নির্ভর করে পাকিস্তানের।
জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের সওয়ালকোট প্লান্টের কাজ শেষ হতে কয়েক বছর সময় লাগবে। কিন্তু, অনুমোদন পাওয়াটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ভারতের কাছে।