আর বেশি দিন বাকি নেই। খুব কম সময়ের মধ্যেই দ্বিতীয় থেকে প্রথম হয়ে যাবে ভারত। এমনই মনে করছে রাষ্ট্রসংঘ।
জনসংখ্যার নিরিখে এই মুহূর্তে চিনের পরে রয়েছে ভারত। কিন্তু রাষ্ট্রসংঘের পকজখ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারতের জনসংখ্যা। আর তা ঘটতে চলছে আগামী এক দশকের কম সময়ের মধ্যে।
সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস-২০১৯ নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। সেখানে বলা হয়েছে যে আগামী মাত্র আট বছরের মধ্যে জনসংখ্যার বিচারে চিনকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত। জনঘনত্বের বিচারে ইতিমধ্যেই বিশ্বে ভারতের স্থান প্রথম।
ভারতের এই ‘সাফল্যে’র পিছনে অনেকটাই অবদান থাকবে চিনের। এমনই মনে করছে রাষ্ট্রসংঘ। কারণ খুব দ্রুতঅতার সঙ্গে কমছে ওই দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার। যা আগামী দিনে আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০৫০ সালের মধ্যে চিনের জনসংখ্যা ৩১.৪ মিলিয়ন কমতে চলেছে। শতাংশের বিচারে যা ২.২।
অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘ মনে করছে ওই একই সময়ের মধ্যে সমগ্র বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ২ বিলিয়ন বৃদ্ধি পাবে। এই মুহূর্তে বিশ্বের জনসংখ্যা ৭.৭ বিলিয়ন। প্রতিবেদনের রিপোর্ট সত্য ধরে নিলে আগামী তিন দশকের মধ্যে সেই সংখ্যা হতে চলেছে ৯.৭ বিলিয়ন।
এই বর্ধিত জনসংখ্যার অর্ধেক আসবে ভারত সহ নয় দেশ থেকে। ভারত ছাড়া সেই দেশ গুলি হল পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, কঙ্গো, এথিওপিয়া, তানজানিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইজিপ্ট এবং আমেরিকা। আফ্রিকার অনেক দেশের জনসংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হতে চলেছে বলেও মনে করছে রাষ্ট্রসংঘ।