ভারতে প্রতিভার কোনো অভাব নেই কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরেও ভারত বিশ্বশক্তি হয়ে উঠতে পারেনি এর মূল কারণ রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির অভাব। তবে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বে এখন নতুন ভারত পুনরায় নিজের গৌরব ফিরে পাওয়ার পথে চলতে শুরু করে দিয়েছে। ভারতের কূটনৈতিক প্রভাব এখন এতটাই মজবুত হয়েছে যে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলি ভারতের হয়ে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে। সম্প্রতি প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ভারতকে সংযুক্ত রাষ্ট্রের স্থায়ী সদস্য করার জন্য বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ প্রয়াস শুরু করে দিয়েছে।
জাপান, অস্ট্রেলিয়া, রুশ ও ফ্রান্স ভারতকে সংযুক্ত রাষ্ট্রের স্থায়ী মেম্বার করার জন্য আওয়াজ তুলেছে। ভারতের প্রভাবকে বিশ্বের সম্মুখে তুলে ধরার জন্য প্রয়াস করছে এই দেশগুলি। তবে এই দেশগুলির মধ্যে ফ্রান্সের আওয়াজ সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি সংযুক্ত রাষ্ট্রের প্রমুখ এন্টোনিয়া গুটারেস মঙ্গলবার দিন আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে ভারতের খোলাখুলি লড়াইয়ের প্রশংসা করেন। ভারতকে UN এর স্থায়ী সদস্য করার জন্য রাস্তা সাফাইয়ের কাজ চালু হয়েছে তা বিশ্বের কূটনৈতিক মহলকে লক্ষ্য করেই বোঝা যাচ্ছে। ফ্রান্স রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে মেম্বার বৃদ্ধির দাবি তুলেছে এবং ভারতকে সামিল করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
জানিয়ে দি , বর্তমানে স্থায়ী সদস্য পদ ৫ টি রয়েছে তাই সদস্য পদের সংখ্যা না বাড়িয়ে ভারতকে সামিল করা সম্ভব নয়। UN তে ফ্রান্সের রাষ্ট্ৰদূত ফ্যানকইস ডেলটরে বলেন, বর্তমানে বিশ্বের যা স্থিতি তাতে ভারতকে স্থায়ী মেম্বার করা অতি আবশ্যক। সম্প্রতি বার বার প্রয়াসের পর চীনের কূটনীতিকে মার দিয়ে ভারত মাসুদ আজহারকে গ্লোবাল টেরোরিস্ট ঘোষিত করিয়েছে। এখন আরো এক বড় চ্যালেঞ্জকে সামনে নিয়ে UN তে স্থায়ী সদস্য হওয়ার উপর জোর দিয়েছে। ভারতের হয়ে ফ্রান্সের এমন আওয়াজ তোলা ভারতের জন্য বড় কূটনৈতিক জয় বলেই মনে করছে বিশ্বরাজনৈতিক মহল।
ভারত UN এর স্থায়ী সদস্য পদ পেলে বিশ্বে ভারতের প্রভাব আইও বৃদ্ধি পাবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। স্থায়ী সদস্য হলে ভারতের ইস্যুগুলিকে পুরো বিশ্ব আরো গম্ভীরতার সাথে দেখবে। শুধু এই নয়, এশিয়া মহাদেশে চীনের বৃদ্ধি পাওয়া প্রভাবকে কাউন্টার করার জন্য ভারত সবথেকে বড় বিকল্প হিসেবে সামনে আসবে। এশিয়াতে চীন বিস্তারবাদী নীতির উপর কাজ করছে সেটাকে আমেরিকা সহ পুরো বিশ্ব লক্ষ করেছে। এমত অবস্থায় ভারতকেবস্থায়ী পদ প্রদান পুরো বিশ্বের জন্য সুফলদায়ক হবে।