সদ্য লাদাখের প্যাংগং লেকের দুই তীর থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ভারত-চিন। আপাতদৃষ্টিতে দেখতে গেলে অনেকটাই ফিরেছে স্থিতাবস্থা। এবার ভারতবাসীকে আরও একটু আস্বস্ত করলো ভারতীয় সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত। তিনি বলেন ভারত আগামী ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে সীমান্ত পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে চিনকে জোর টক্কর দেবে। তিনি এটাও বলেন ভারতীয় মহাসাগরে চিনা নৌবাহিনীকে নিয়ে ভয় পাবার কোনো কারণ নেই। বিপিন রাওয়াত এদিন বলেন যে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার যুগ্ম সংগঠন ‘QUAD’-কে সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে চীনের বিরুদ্ধে কোনও গ্রুপ হিসাবে দেখা উচিত নয়।
বিপিন রাওয়াত বলেছেন, “এই সমস্ত দেশগুলো একত্রিত হয়েছে যাতে কোনও একটি দেশ নিজের আধিপত্য যাতে বিস্তার করতে না পারে তা সুনিশ্চিত করতে।” গত মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রসঙ্গে রাওয়াত বলেছেন যে, প্রতিবেশী দেশটি তাদের যুদ্ধ নীতি বা আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ খুব সহজেই ত্যাগ করবে, তা বলা সম্ভব নয়। সুতরাং আমাদের সবসময় সজাগ থাকতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমনের জন্য তিনি সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলির যৌথভাবে নেওয়া পদক্ষেপের ভূয়সি প্রশংসা করেছেন। রাওয়াত বলেন, ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের ‘গ্রে লিস্ট’ এ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় পাকিস্তান ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেছেন যে, ভারতের উত্তর সীমান্তের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে এবং আগামী তিন-চার বছরে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। তিনি বলেন, ” কেন্দ্রীয় সরকার গত চার-পাঁচ বছর ধরে উত্তর সীমান্তে পরিকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপকভাবে জোর দিচ্ছে এবং সেই দিনটি খুব বেশি দূরে নয় যখন ভারত প্রতিবেশী দেশ (চিন) এর মতো সীমান্তে পরিকাঠামো তৈরি করবে। এবং চিনকে টেক্কা দেবে।”
যদিও এর আগেও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল, উচ্চতর প্রতিরক্ষা- অপারেশনাল সংস্থায় পরিকাঠামো সংস্কারের মতো কয়েকটি বিষয়ে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছিলেন এই বরিষ্ঠ সেনাকর্তা। অন্যদিকে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যে বিশালাকার পরিবর্তন এসেছে সে কথাও এদিন বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেন তিনি। চিনের সামরিক শক্তির তুলনায় ভারতের সামরিক শক্তিও যে কোনও অংশে কম নয় এদিন সেকথাও বারবার মনে করিয়ে দেন তিনি।