চিনকে টেক্কা, ২১টি MiG-29s, ১২টি Su-30 MKI দ্রুত কিনছে ভারত

আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনা। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বৃহস্পতিবার যে ছাড়পত্র দিল, তাতে চিনের রক্তচাপ যে বাড়তে চলেছে, তাতে সন্দেহ নেই। ভারত (India)রাশিয়া অস্ত্র চুক্তির প্রেক্ষিতে এদিন মস্কোর কাছ থেকে যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারে ছাড়পত্র দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এর ফলে ভারতের হাতে খুব দ্রুত আসছে ২১টি মিগ-২৯s। ভারতের কাছে যে মিগ ফাইটার জেট রয়েছে, তার তুলনায় এগুলি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করা।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এদিন ছাড়পত্র দিয়েছে সুখোই জেট কেনার ব্যাপারেও। ফলে ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ১২টি এসইউ-৩০ এমকেআই এয়ারক্রাফট। উল্লেখ্য, ডিএসি অর্থাৎ ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের সামনে এই প্রস্তাব পেশ করা হলে, তা পাশ হয়ে যায় বুধবারই। এই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। কাউন্সিলে রয়েছেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত।

তিন সেনা প্রধানও এই কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মন্ত্রক সূত্রে খবর, মিগ-২৯ কেনার জন্য ভারতকে খরচ করতে হচ্ছে ৭৪১৮ কোটি টাকা। যে ১২টি সুখোই ফাইটার জেট বা এস ইউ-৩০ এমকেআই কেনা হচ্ছে, তার আধুনিকীকরণ হবে ভারতের মাটিতেই। হিন্দুস্তান এয়ারোনটিকস লিমিটেড বা হ্যাল এই দায়িত্ব পালন করবে। এজন্য প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দ ১০,৭৩০ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক মোট দুটি প্রস্তাবে সায় দেয়। এক রাশিয়া থেকে এয়ারক্রাফট কেনা, দুই, ভারতের মাটিতে সুখোইয়ের আধুনিকীকরণ করা। দোসরা জুলাই বৈঠকে বসে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল। বৈঠকে মোট ৩৮, ৯০০ কোটি টাকার প্রস্তাব পাশ হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

এদিনই প্রতিরক্ষামন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয় বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে ভারতের হাতে এই যুদ্ধবিমান আসছে। একদিকে প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারতের ডাককে সামনে রেখে এগোনো হয়েছে, অন্যদিকে, অত্যাধুনিক ফাইটার জেট হাতে পাচ্ছে বায়ুসেনা।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, আত্মনির্ভর হতে ভারতের কিছু সময় বাকি। এজন্য সবদিক থেকে চেষ্টা করছে ডিআরডিও। পিনাকা অ্যামুনিশন, বিএমপি আর্মামেন্ট আপগ্রেডস, সফটওয়্যার ডিফাইনড রেডিওর মতো যন্ত্র তুলে দেওয়া হবে সেনা বাহিনীর হাতে।

এছাড়াও লং রেঞ্জ ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল সিস্টেম ও অস্ত্র মিসাইল নৌবাহিনী ও বায়ুসেনার হাতে দেওয়া হবে। চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে ক্রমেই। সেই পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে ভারত যদি এখন এই প্রকল্পটিতে গতি আনে, তবে নিঃসন্দেহে তা চিনের জন্য সুখকর হবে না। স্নায়ুর যুদ্ধে বেশ কিছুটা মানসিক দিক থেকে এগিয়ে যেতে পারবে নয়াদিল্লি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.