ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো ( Indian Space Research Organisation ) শ্রীহরিকোটা সতীশ ধাভান গবেষণা কেন্দ্র থেকে PSLVC46 লঞ্চ করেছে। PSLVC46 স্যাটেলাইট সফলভাবে RISAT-2B রাডার লো আর্থ অর্বিতে নিযুক্ত করেছে। এটা PSLVC স্যাটেলাইট এর ৪৮ তম উড়ান এবং রিসাট স্যাটেলাইট সিরিজের চতুর্থতম স্যাটেলাইট। এই স্যাটেলাইট কৃষিক্ষেত্রজল, গোয়েন্দাগিরি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদির উপর নজর রাখার জন্য ব্যাবহৃত হবে। একইসাথে এই স্যাটেলাইট সিনথেটিক রাডার ইমেজ প্রেরণ করতেও সক্ষম। এর আগে মঙ্গলবার দিন ইসরো চেয়ারম্যান ত্রিপাঠির ত্রিমুলা মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে আসেন। জানিয়ে দি, ইসরোর এটা বরাবরের নিয়ম যে কোনো কাজের আগে মন্দিরে পুজো দেওয়া। এই স্যাটেলাইট প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে দেশকে সাবধান করতে পারবে। এই স্যাটেলাইট এর মারফত মহাকাশ থেকে জমির তিন ফুট উপর পর্যন্ত ছবি তোলা সম্ভব হয়।
২৬/১১ মুম্বাই হামলার পর ISRO/ ইসরো কর্তৃপক্ষ দেশের সেবার জন্য তথা দেশের সীমা সুরক্ষার জন্য এই স্যাটেলাইট তৈরির উপর কাজ করছিল। ISRO/ইসরো এর অনুযায়ী, মেঘলা অবস্থায় রেগুলার রিমোর্ট সেন্সিং বা অপটিক্যাল ইমেজ স্যাটেলাইট পৃথিবীর উপর থাকা বস্তুর সঠিক ছবি নিতে পারে না। কিন্তু সিনথেটিক আরপাচার রাডার এই খামতি পূরণ করবে। এই রাডার সমস্থরকম পরিবেশ ছবি তুলতে সক্ষম। সেটা রাত হোক, মেঘলা হোক, বৃষ্টি হোক সমস্থ পরিবেশে এই রাডার ছবি তুলতে সক্ষম জাত জন্য সুরক্ষায় ISRO এর এই স্যাটেলাইট এর ভূমিকাও বেশি।
সিনথেটিক আর্পেচার রাডার(SAR) কালো ঘন মেঘকে ভেদ করতে সক্ষম। এর ফলে যেকোনো মরশুমে ছবি তুলে ভারতীয় সেনার হাতে পৌঁছে দেবে ISRO( ইসরো) এর এই স্যাটেলাইট। দুটি বস্তু যদি ১ মিটার দূরত্ব থেকে বস্তুর চিহ্নিত করণ করতে এই ধরনের স্যাটেলাইট খুবই দক্ষ। এমনকি সমুদ্রে থাকা জাহাকে ট্রাক করতেও ISRO( ইসরো) এর এই স্যাটেলাইট সক্ষম।
জানিয়ে দি, হিন্দ মহাসাগরে চীন নিজের প্রভাব বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে তা নিয়ে ভারত সর্বদা সচেতন থাকে। এখন Risat-2BR1 হিন্দ মহাসাগরে চিনী ও আরব মহাসাগরে পাকিস্তানী জাহাজের উপর নজর রাখবে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনকে সম্পুর্ন করতে এই ধরনের স্যাটেলাইট বড়ো ভূমিকা পালন করে। Risat এর প্রথম স্যাটেলাইট ২০১৬ সালে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সময় কাজে এসেছিল। বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকেও এই স্যাটেলাইট ব্যাবহার করা হয়েছিল বলে খবর।