ইনক্লাব জিন্দাবাদ, আমি খাব তুমি বাদ

যে বিরাট উকিল প্রতিদিন প্রতি মূহুর্তে গনতন্ত্রের পতাকা উড়ান পশ্চিমবঙ্গের বাতাসে,ধর্মতলার মোড়ে গরু খেয়ে রুশ বিপ্লবকে হারিয়ে দিয়ে নতুন বিপ্লব আনেন কোলকাতার মাটিতে। আপনি তার বাড়িটা দেখেছেন? বাইপাসে তার বাড়ি, ওরকম বাড়ি বোম্বের কটা ফিল্ম স্টারের আছে?
ভেতর থেকে উঠে গেছে লিফ্ট, বাইরে থেকে তা আবার দেখা যায়।
তিন তলা না চার তলা, নাকি পাঁচ তলা আপনার গুলিয়ে যাবে। ঐ যে বললাম, একেবারে ফিল্ম স্টারের বাড়ির মতো। তো প্রশ্ন হচ্ছে সেই ভদ্রলোক কেন সেই বাড়ির দুটো তলা ছেড়ে দিচ্ছেন না হোম কোরেন্টাইন রোগীদের জন্য?
আপনি সেই কমিউনিস্ট নেতাকে দেখেছেন যে ধুতিটাকে লুঙ্গির মতো পরে প্রায় খালি গায়ে নেমে যান কাদার মধ্যে , জনসেবা করেন মথুরাপুর রায়দিঘিতে।কিন্তু আপনি তার ছেলেকে দেখেননি, যিনি একটি একশো কোটি টাকার প্রাইভেট হাসপাতালের পঞ্চাশ কোটি টাকার মালিক। কিভাবে হয়? যার বাবা কাদার মধ্যে নেমে জনসেবা করেছে সারা জীবন, তার ছেলে কিভাবে একশো কোটি টাকার হাসপাতালের অর্ধেকটার মালিক হয়? প্রশ্ন গুলো কেউ তোলেনি। আসলে আমরা এমন একটা সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে দাড়িয়ে আছি যেখানে কাল নীরব মোদি, আম্বানি বা আদানীকে এত গালাগাল দেওয়া হয় তারা আজ একটা লাল চাপড় গায়ে দিয়ে দাড়িয়ে নিজেকে কমিউনিস্ট (Communist) বলে দাবি করে তাহলে সেও কমিউনিস্ট হয়ে যাবে। অদ্ভুত। যারা এত দাবি করছেন ,যাদের এত আপত্তি ,কেন দেশের লোক মোমবাতি জ্বালিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে। তারা কেন সেই বাড়ি গুলোতে আলো জ্বালেনা বছরের এগারো মাস, বস্তির ঘর গুলোয়।
সেখানে হুকিং করে নয়, আলো দিয়ে আলোর বিলটা মিটিয়ে দেবার বন্দোবস্ত করেনা কেন?
প্রতিটা ক্ষেত্রেই “আপনি আচারি ধর্ম অপরকে শেখাও” কথা বলে যদি কিছু থাকে, সেই কথাটাকে মিথ্যা প্রমান করার জন্য বামপন্থীরা সারা পৃথিবীতে তো বটেই, ভারতবর্ষেও নেমে পরেছে।
এরা যে বামপন্থার কথা বলতে চাই সেই বামপন্থা আসলে “ইনক্লাব জিন্দাবাদ, আমি খাব তুমি বাদ“। এটা বহুকাল আগে মানুষ জেনে গেছিল, কিন্তু তাদের দাবিয়ে রেখেছিল এই বামপন্থীরা। আজ আর দাবিয়ে রাখা যাচ্ছে না। ওয়াল স্ট্রিটের সেই যে কথা আমরা 1% ওরা 99%, এখানেও তারা 7% থেকে কমতে কমতে 1% এ হয়ত দাড়িয়েছে। যারা লাল রং বলতে বোঝেন মানুষের রক্ত চুষে সেটাকে খাওয়া।

এদের প্রতিভূরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে প্রধানমন্ত্রীর গায়ে আগুন দিতে চান। আবার তারাই দীক্ষা দেবার নাম করে দু পয়সা রোজগারও করে নেন। তার মানে সব কিছুতে, ধর্ম থেকে সমাজ সেবা ,রক্ত চুষে খাবার অধিকার যার আছে ভারতবর্ষের সেই বামপন্থী অথবা আজকের সেই বামপন্থা প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে পরাজিত হয়েছে, এইই করোনার ক্ষেত্রেও। কারন করোনার ক্ষেত্রে তাদের যে বিকৃত দৃষ্টি , সেই দৃষ্টি শুধু ভারতের বিরুদ্ধে নয়, সেই দৃষ্টি মানবতার বিরুদ্ধে।যখন একটি সেমিনার শেষ হয়ে যায় এবং সেই সেমিনারের লোকেরা দশ দিন বসে থাকে রোগ চারিয়ে যাওয়া পর্যন্ত তখন তারা সেই দশ দিনের কথা উল্লেখ করেনা। তারা উল্লেখ করে ঐ দুদিন কেন ছিল। ঐ দুদিন কেন লক ডাউন (Lock down) হয়নি। সেমিনার শেষ হবার পর সেই জায়গায় কে থাকে? পৃথিবীর একটি সেমিনারও যে যোগদান করেছেন সে জানেন, তার পরদিনই সবাই চলে যান। তাহলে দিল্লির নাজিমুদ্দিন (Nazimuddin) এর ক্ষেত্রে কেন পরদিন চলে গেল না? কেন দশ দিন থাকল?
এই প্রশ্নটা তোলা কোনো ভাবেই সাম্প্রদায়িক নয় কিন্তু তাকে সাম্প্রদায়িক বলে দেওয়া হবে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের যারা রাস্তায় হাটছিল তার জন্য যারা মরে যাচ্ছেন, তারা তাদের দিল্লির কমরেডদের বলেননি কেন দরজা খুলে দিতে? যাতে শ্রমিকরা অন্তত দুদিন তিনদিন তাদের একটি ঘরে থাকতে পারেন।
আমাদের উকিল বাবুর বাড়ির মতো বড় বড় বাড়ি তো অনেকের আছে। কিন্তু না, ঐ যে অন্যেরা খাটবে আর আমরা তার মজাটা মারব। এটাই হচ্ছে বামপন্থার একমাত্র ঘোষিত নিয়ম। আজকে এই করোনার ক্ষেত্রে সেই নিয়মকে ভারত বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। কারন ভারতের আপামর জন সাধারন ঐ লেফ্ট কন্ট্রোলড মিডিয়ার বায়াসড সত্বেও প্রদীপ জ্বালিয়েছেন, মোমবাতি জ্বালিয়েছেন এবং এক কথায় এদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছেন। এরা প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহূর্তে একজন প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছেন কারন সেই প্রধানমন্ত্রী হাভার্ড ফেরত শিক্ষিত নন। সেই প্রধানমন্ত্রী দীক্ষা দিয়ে টাকা রোজগার করেননা। সেই প্রধানমন্ত্রী একজন চাওয়ালা ওবিসি। এরা চন্ডীমন্ডপের সেই বৃদ্ধ শকুনে রূপান্তরিত হয়েছে, যে শকুনের ওড়ার ক্ষমতা নেই। শুধু মৃতদেহ কেউ সামনে এনে ফেলে দিলে ঠুকরে ঠুকরে মাংস খাবার ক্ষমতাটুকু আছে। এদের ঘৃনার থেকেত নীচে যদি কোনো শব্দ জায়গা থাকে, আজ সেখানে এদের স্থান হয়েছে। আর কোনোদিন উঠে না আসার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.