টোকিও অলিম্পিকের হ্যাং-ওভার এখনও কাটেনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। অলিম্পিকে সফল ক্রীড়াবিদদের নিয়ে যারপরনাই খুশি মোদী। স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় আমন্ত্রণ জানানো থেকে শুরু, তারপর সফল অ্যাথলিটদের চা-চক্রে আমন্ত্রনও জানিয়েছেন। একসঙ্গে সেরেছেন প্রাতরাশও। জ্যাভলিনের সোনার ছেলে নীরজ চোপড়া থেকে শুরু, ব্যাডমিন্টনের রানি পিভি সিন্ধু, কিংবা মীরাবাই চানুদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সাক্ষাতের মাধ্যমে মোদী ক্রীড়াবিদদের মন জয় করে নিয়েছেন।
মোদীর জ্যাভলিন পাঠভারতীয় অ্যাথলেটিক্সের ১২১ বছরের খরা কাটিয়েছেন নীরজ, সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস। জ্যাভলিন ইভেন্টে সোনা জিতে সেই খেলার প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়েছেন। খোদ প্রধানমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা হতেই জেনে নিয়েছেন জ্যাভলিন থ্রো-র নিয়মকানুন।
সিন্ধুর সঙ্গে আইসক্রিমসিন্ধুকে কথা দিয়েছিলেন অলিম্পিক থেকে ফিরলে একসঙ্গে আইসক্রিম খাবেন। কথা রাখলেন মোদী। কথা হল, আইসক্রিম খাওয়াও হল। রথ দেখা, কলা বেচা দুটিই সারলেন তাঁরা।
রবির সঙ্গে একান্তেকুস্তির রবি কুমার দাহিয়া, দেখলে মনে হবে শান্ত-নম্র, কিন্তু রিংয়ে নামলেই তিনি অন্যরকম, ভয়ঙ্কর মেজাজে বিচরণ করেন। মোদীর সঙ্গে একান্তে কথা হল অলিম্পিকে রুপোজয়ী তারকার। মনে করা হচ্ছে, সুশীল কুমারের বিষয়ে রবির কাছে খোঁজও নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মন কাড়লেন মীরাছোট্টখাট্টো মেয়েটি, মনিপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা ভারোত্তোলক যেন সকলের মন জয় করে নিয়েছেন। মোদী ডাকলেন মীরাকে, কথা হল কিছুক্ষণ। প্রাণচঞ্চল মেয়েটি আরও গর্বিত করবেন দেশকে, মোদীকে বলে এসেছেন তিনি।
হকি দলের গোলটেবিলে৪১ বছরের খরা কাটিয়ে হকিতে পদক পেল ভারতীয় দল। দলের সকলে উজাড় করে পারফরম্যান্স করেছেন। মোদী দলের সকলের সঙ্গে কথা বললেন, সারলেন প্রাতরাশ। মনপ্রীত সিং দলের সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন।
বজরংয়ের সঙ্গে রসিকতাবজরং পুনিয়া মজার মানুষ, মোদী সেটি জানেন। আর জানেন বলেই তাঁকে দেখা মাত্রই তাঁর সঙ্গে রসিকতা শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী। ব্রোঞ্জজয়ীর সঙ্গে খোশমেজাজে প্রধানমন্ত্রী।
লভলিনাকে দিলেন বক্সিং গ্লাভসভারতের তো গর্বই, উত্তর পূর্বাঞ্চলের বর্তমান আইকন তিনি। লভলিনা বড়গোঁহাইকে দেখে মোদীর প্রশ্ন, তোমার উচ্চতা কত? লভলিনাকে প্রধানমন্ত্রী দিলেন বক্সিং গ্লাভস। লভলিনার সাফল্যের জন্য তাঁর গ্রামে পাকা রাস্তা হয়েছে, পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুৎও।
পদক না পেলেও পুরস্কৃতটোকিও থেকে তারা ফিরেছে শূন্য হাতে, কিন্তু ভারতীয় মহিলা হকি দলের লড়াই, তাঁদের প্রত্যয়ে উচ্ছ্বসিত সারা দেশ, প্রধানমন্ত্রীও গর্বিত রানি রামপাল, সবিতাদের নিয়ে। তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি, সেরেছেন প্রাতরাশ। পদক না পেলেও তাঁদের সম্মান জানিয়ে পুরস্কৃত করেছে সরকার।
মোদীকেও পাল্টা উপহারটোকিও অলিম্পিকে পদকজয়ীরাও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে শাল উপহার দিয়েছেন। তিনি সেই ঘটনায় আপ্লুত। সবাই মিলে তুলে দিয়েছেন মোদীর হাতে।