অমরনাথ যাত্রায় হতে পারে বড়সড় জঙ্গি হামলা। নিরাপত্তার খাতিরে তাই মাঝপথেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাত্রা। গোয়েন্দা দফতরের গোপন সূত্রে খবর, এই নাশকতার ছকের পিছনে হাত রয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা পাওয়া মাসুদ আজহারের ভাই ইব্রাহিম আজহারের। সূত্রের খবর, আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উত্তর কাশ্মীরের সোপরে বড়সড় নাশকতা চালানোর ছক কষেছিল পাক মদত পুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। অনুমান, এই প্ল্যানের মাস্টারমাইন্ড ইব্রাহিম আজহার। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভূখণ্ডের মুজাফফরাবাদে গত মাসেই দেখা গিয়েছে ইব্রাহিমকে।
ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট বলছে, ১৯৯৯ সালে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের IC-814 বিমান হাইজ্যাকের অন্যতম মূল চক্রী ছিল এই ইব্রাহিম আজহার। ছেলে উসমান হায়দারের মৃত্যুর বদলা নেওয়া জন্য বেশ কয়েকবার উপত্যকায় ঢুকে ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতার ছকও কষেছিল এই ইব্রাহিমই। এমনকী সীমান্ত রেখা বরাবর হামলা চালানোর জন্য দলও তৈরি করে মাসুদ আজহারের এই ভাই। সেনা সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে উপত্যকায় ঢুকেছিল ইব্রাহিমের ছেলে। এরপর ২০১৮ সালেরই ৩০ অক্টোবর নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় ঝাঁঝরা হয়ে যায় ইব্রাহিমের ছেলে উসমান হায়দার। অন্যদিকে মাসুদ আজহারের শালা আবদুল রশিদের ছেলে তালহা রশিদকেও খতম করে সেনাবাহিনী। জায়গা সেই পুলওয়ামাই। পরপর দুটো ঘটনার পরেই শুরু হয় প্রতিশোধের খেলা। গুলির লড়াইয়ের জন্য ক্যাডার তৈরি করতে শুরু করে ইব্রাহিম। লক্ষ্য একটাই ভারতীয় সেনাকে দুরমুশ করে ছেলের মৃত্যুর বদলা নেওয়া।
শুক্রবারই লেফেটেন্যান্ট জেনারেল ধিলোঁ জানিয়েছেন, অমরনাথের যাত্রা পথে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ল্যান্ডমাইন, যেখানে পাকিস্তান অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির ছাপ রয়েছে। এছাড়াও টেলিস্কোপিক ভিউয়ের ব্যবস্থা সম্পন্ন একটি এম-২৪ আমেরিকান স্নাইপার রাইফেলও পাওয়া গিয়েছে। এর থেকে এটা স্পষ্ট যে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন অমরনাথ যাত্রীদের উপর বড়সড় হামলার ছক কষেছিল। সম্ভবত সেই প্ল্যানে মদত ছিল পাক সেনাবাহিনীরও। এরপরেই অমরনাথ যাত্রীদের উপত্যকা ছেড়ে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। যাঁরা অমরনাথ পৌঁছে গিয়েছেন, বা যাঁরা পথে রয়েছেন, সকলের উদ্দেশেই জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের পরামর্শ তাঁরা যেন নিজেদের প্ল্যান যত দ্রুত সম্ভব কাটছাট করে ওই এলাকা থেকে বেরিয়ে যান।
এরপরেই অমরনাথ যাত্রায় নাশকতার ছক নিয়ে প্রকাশ্যে এলো নতুন তথ্য। সেনার অনুমান, এই হামলার ছকের মাস্টারমাইন্ড মাসুদ আজহারের ভাই ইব্রাহিম আজহার।