জামাত জঙ্গিদের জেরায় উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য যা পুলিশ প্রশাসনের কাছে রীতিমতো মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে আসামে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হওয়াতে, বিশেষ করে জঙ্গি ও সমাজবিরোধীদের উৎপাদনের তালিকায় প্রথম সারির জেলা গুলো যেমন ধুবড়ি, নগাঁও, বঙাইগাঁও ,গোয়ালপাড়া, হোজাই ও করিমগঞ্জকে টার্গেট করার ফলে, ওই রাজ্যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলো বিপর্যস্ত।
আসামেও পশ্চিমবাংলার মতোই বাছাই করা জেলাগুলোতে জামাত-উল-মুজাহিদীন বেশ সক্রিয় ছিল কিছুদিন আগে পর্যন্ত, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে বেশ রমরমিয়ে কাজ করছিলো জামাতের স্লিপার সেল।
অবসরপ্রাপ্ত কাউন্টার-টেররিসম এক্সপার্ট উমানন্দ বরগোঁহাই বলেন সুচিন্তিতভাবে সোনোওয়াল সরকার প্রথমে জঙ্গি আঁতুরঘর মাদ্রাসাগুলোকে অকেজো করে, কারণ জেহাদিরা সেখান থেকেই ভারতবিরোধী কার্যকলাপের প্রথম অনুপ্রেরণা পায়।
“নিরাপত্তা বাহিনীকে উগ্রপন্থা ও সমাজবিরোধী শক্তিগুলোকে নির্মূল করার জন্য সম্পুর্ন্য স্বাধীনতা দেওয়ার ফলে এখন আসামের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো যেমন ধুবড়ি ও নওগাঁও এবং আরো ৪ জেলায় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে এবং শুধু তাই নয় সীমান্তে করা পাহারার জন্য সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার ও পথ নেয়। পুরো সন্ত্রাসবাদী সিস্টেম তাড়াতাড়ি অকেজো করে দেওয়ার কাজ চলছে খুব দ্রুত গতিতে,” বরগোঁহাই বলেন।
এই প্রাক্তন আধিকারিক যিনি বিভিন্ন সময়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করেছেন বলেন আসামে কড়াকড়ির ফলে পশ্চিমবঙ্গ এখন জামাতের টার্গেট।
ইতিমধ্যে জঙ্গি জেরায় প্রকাশ জামাত পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলাকে টার্গেট করে স্কুল ও কলেজের ছাত্র ও ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে জেহাদিদের হয়ে পুরোদমে কাজ
করতে এবং এই মর্মে লিফলেট, খিলাফতের ডাক দিয়ে জামাতের আদর্শবানী অনলাইন প্রচারের জন্য কম্পিউটার জানা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দক্ষ ছেলে মেয়েদের নিয়োগ করা হচ্ছে
পুরোদমে।
2021-07-20