একদিকে ভারত যখন পাক সন্ত্রাসের প্রমাণ দিচ্ছে, তখন ইমরানের মুখে ফের শান্তির ললিত বাণী! শনিবার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, কোনও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে পাকিস্তানে বসে অন্য দেশে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাতে দেওয়া হবে না। দক্ষিণ পাকিস্তানের একটি জনসভায় ইমরান আরও বলেন, এবার থেকে এদেশে কোনওরকম জঙ্গি তৎপরতা বরদাস্ত করা হবে না।
পাক প্রধানমন্ত্রীর এই উক্তির পর প্রশ্ন উঠছে, তার মানে এতদিন ধরে সেদেশে বসে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানো যেতো তাহলে! আটকানো হয়নি কেন?
অবশ্য ইমরানের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে না ভারত। মনে করা হচ্ছে তীব্র আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে লোক দেখানো কথা বলছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। আসলে পুলওয়ামা হামলার পর গোট বিশ্ব ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। এমনকী চিনও। এরপর ভারতের বায়ুসেনা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। অন্যদিকে পুলওয়ামা হামলায় যে জইশের হাত রয়েছে তার প্রমাণ দেওয়া হয় পাকিস্তানকে। এরপরেও পাক প্রশাসন কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টে ফের প্রমাণ চেয়েছে তারা। গত সোমবার অবশ্য বেশ কিছু ধরপাকড়ের কথা জানায় পাকিস্তান। কিন্তু গোটাটাই মিথ্যাচার বলে মনে করছে ভারত। কারণ ২৬/১১ থেকে শুরু করে পুলওয়ামা অবধি—প্রতিবার প্রমাণ দেওয়া সত্ত্বেও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কার্যত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পাক প্রশাসন। বরং মাসুদ আজহার, হাফিজ সইদরা পাকিস্তানের সম্ভ্রান্ত নাগরিক।
এমত অবস্থায় ইমরান যতই বলুন, পাকিস্তানে বসে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানো যাবে না, আসলে তা কথার কথা, এমনটাই মনে করছে ভারত সহ আন্তর্জাতিক মহল।