‘আরও একটা সুযোগ দিন, বিহারের প্রতিটি গ্রামে সেচ সুবিধা প্রদান করা হবে, প্রযুক্তিগত সমস্ত ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে বিহারের প্রতিটি গ্রামে।’ শুক্রবার বিহারের সাসারামের বিয়াদা ময়দানে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় এভাবেই বিহারের জনগণের কাছে অনুরোধ রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আগামী সপ্তাহে বিহারে ভোট, তার আগে শুক্রবার সাসারামে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এই জনসভায় পরে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এদিন নীতীশ বলেন, ‘ভারতে ক্রাইম রেটের নিরিখে বিহার এই মুহূর্তে ২৩ নম্বর স্থানে রয়েছে। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে আমাদের সরকার। আগে কত অপরাধ হত, গণহত্যা, খুন ও অপহরণের কারণে চিকিৎসক, ব্যবসায়ীরা পালতে বাধ্য হতেন।’
বিহারের জনগণের কাছে নীতীশ কুমারের আর্জি, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে, বিহারের উন্নয়ন ও প্রগতির জন্য আমরা কাজ করেছি। যদি আমাদের আরও একবার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে বিহারের প্রতিটি গ্রামে সেচ সুবিধা প্রদান করব, প্রতিটি ক্ষেতে কৃষির জন্য জল পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রযুক্তিগত সমস্ত ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে বিহারের প্রতিটি গ্রামে। যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আমরা যদি ফের সুযোগ পাই, বিহারকে উন্নত রাজ্যে উন্নীত করব, রাজ্যকে সক্ষম ও সাবলম্বী করে তুলব।’
করোনাভাইরাসের প্রকোপ রুখতে দেশজুড়ে লাগু করা হয় লকডাউন। এর ফলে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজ নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে আনার জন্য করোনা-পরিস্থিতিতেই চালু করা হয়েছিল বিশেষ ট্রেন। এ প্রসঙ্গে নীতীশ কুমার এদিন বলেন, ‘কেন্দ্রের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়ার জন্যই আমাদের রাজ্যের সবাই ট্রেনের মাধ্যমে রাজ্যে ফিরে আসতে পেরেছেন, বিহারে এখন করোনার সুস্থতার হার ৯৪ শতাংশ।’ নীতীশ বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত সহায়তার বিষয়ে আপনারা সবাই জানেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় আটকে পড়া শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ট্রেন চালানো হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট করোনা-হাসপাতাল নির্মিত হয়েছে।’