ব্রাহ্মণ সেজে হিন্দু মেয়েকে বিয়ের অভিযোগ মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে

ব্রাহ্মণ সেজে হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠল এক মুসলিম ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বিয়েতে নেওয়া হয়েছে মোটা অঙ্কের পণ। আরও চাঞ্চল্যকর বিষয় হচ্ছে, বিয়ের দিন চারেক পর থেকেই নিখোঁজ ওই দম্পতি।

ঘটনাটি রাজস্থানের শিকর থানা এলাকার। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ইমরান ভাতি। বিবাহিত এবং তিন সন্তানের পিতা হয়েও ধর্ম লুকিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, প্রতারণা এবং অপহরণের মামলাও রুজু করা হয়েছে।

বিয়ের পাত্রীর পিতা জানিয়েছেন যে নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিয়ে বিয়ে করে সে। কবীর শর্মা নাম বলে নিজেকে হিন্দু ব্রাহ্মণ বলে দাবি করেছিল ইমরান। কিছু লোকজনকে বাবা-মা এবং আত্মীয় সাজিয়েও হাজির করা হয়েছিল বিয়ের মণ্ডপে। কপালে তিলক দেখে সন্দেহ হয়নি। গত মাসের ১৩ তারিখে জয়পুরে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়।

বিয়েতে বিপুল পরিমাণ পণ এবং সোনা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পাত্রীর বাবা। তবুও বিয়ের একদিন পরেই ফের পাঁচ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত পণ চাওয়া হয়। বন্ধুর থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ধার করে সেটাও দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন পাত্রীর বাবা। এরপরে ১৭ তারিখ থেকে নিখোঁজ পাত্রী। আর সেদিন থেকেই বাড়িতে থাকা সকল শোনা গায়েব বলে জানিয়েছেন তিনি।

মেয়ে-জামাইয়ের খোঁজে বিয়ের ছবি নিয়ে জয়পুরে খুঁজতে গিয়েছিলেন পাত্রীর পিতা। সেই সময় থেকেই ক্রমশ স্পষ্ট হতে থাকে প্রতারণার চিত্রটা। জয়পুরে গিয়ে তিনি জানতে পারেন যে পাত্রের নাম কবীর শর্মা নয়, সে আসলে ইমরান ভাতি। যার আগে বিয়ে হয়েছে এবং তিন সন্তানও রয়েছে। ইমরান একটি মোটর কোম্পানিতে চাকরি করে বলেও জানতে পারেন তিনি। ইমরানের এক বন্ধুর থেকে এই সকল তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন পাত্রীর পিতা।

অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। এই মামলার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট আমানদীপ সিং কাপুর। তিনি আরও জানিয়েছেন যে এটা একটা বড় ষড়যন্ত্র। খুব দক্ষতার সঙ্গে সবকিছু করা হয়েছে। প্রথমে বিয়েতে ১১ লক্ষ টাকা পণ, পাঁচ লক্ষের শোনা এবং দামি পোশাক নেওয়া হয়েছে। বিয়ের চিত্রগ্রাহকদেরকেও পাত্রপক্ষ নিয়ে এসেছিল। মেয়ের বাড়ির লকেদের মোবাইলের ছবি দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.