‘পূর্ণ লকডাউন, অস্থায়ী হাসপাতাল, টিকাকরণ’, ভারতে করোনা মোকাবিলায় তিন দাওয়াই ফসির

ভারতের করোনা অতিমারির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন আমেরিকার অন্যতম জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফসি। এই পরিস্থিতিতে ‘জরুরি ব্যবস্থা’ নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে সেনাকে ব্যবহার করে অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি, লকাডাউন জারি করে সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙার মতো পদক্ষেপ করার কথা বলেছেন। সঙ্গে ভারতকে সাহায্যকারী দেশগুলির প্রতি তাঁর আবেদন, শুধুমাত্র উপকরণ (ওষুধ, অক্সিজেন) নয়, মানুষ (করোনাযোদ্ধা) দিয়েও সাহায্য করতে হবে।

বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি সিএনএন-এ সাক্ষাৎকার দেন ফসি। সেই সাক্ষাৎকারেই ভারতে কোভিড মোকাবিলার বিষয়টি নিয়ে এই পরামর্শ দিয়েছেন ফসি। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ব্যাপারে। সেই প্রশ্নের জবাবে ফসি বলেছেন, ‘‘গত বছর শীতের শুরুতে আমেরিকাতে যে অবস্থা হয়েছিল ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি তার থেকেও খারাপ। ৩ লক্ষেরও বেশি লোক রোজ আক্রান্ত হচ্ছেন। ৩ হাজারের বেশি লোক রোজ মারা যাচ্ছেন। কখনও সংখ্যাটা ৪ হাজারেও পৌঁছে যাচ্ছে। এই সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙতে লকাডাউন জারি করা আশু প্রয়োজন। আমি বলছি না ছ’মাস ধরে সব বন্ধ করে রেখে দিতে। কিন্তু শৃঙ্খল ভাঙতে দুই-চার-ছয় সপ্তাহ যতটা সময় দরকার তা করতে হবে। পাশাপাশি যত বেশি সম্ভব টিকা দিতে হবে। সেটা করতে পারলে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে পড়তে হবে না।’’

ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবার ঘাটতি নিয়েও নিজের মত জানিয়েছেন ফসি। বলেছেন, ‘‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি অক্সিজেন না পেয়ে, হাসপাতালসে শয্যা না পেয়ে মারা যাচ্ছেন রোগীরা। অতিমারির শুরুতে চিনকে দেখেছিলাম কী ভাবে দ্রুত হাসপাতাল বানিয়েছিল। ভারতেরও উচিত এ রকম হাসপাতাল বানানো। এ কাজে সেনার সাহায্যও নেওয়া যেতে পারে। আমেরিকাতে আমরা দেখেছি, ন্যাশনাল গার্ড কী ভাবে দেশের সব জায়গায় টিকা পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছে। ভারতও সে পথে হাঁটতে পারে। ভারতকে যে দেশগুলি চিকিৎসা সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করছে, তাদের বলব কোভিড স্বাস্থ্যকর্মী দিয়েও সাহায্য করুন।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.