খোদ জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে এক মহিলা পুলিশ আধিকারিকের উপর হামলা চালাল পাঁচ দুষ্কৃতী। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মিজানুর আলম ও তাঁর তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একজন এখনও পলাতক। এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে আলিপুরদুয়ারে। জেলা পুলিশ সুপারের দফতরের নিরাপত্তা নিয়েই উঠল প্রশ্ন।
মিজানুর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফালাকাটা এলাকার কলেজ ছাত্রীর নামে ফেসবুকে ফেক প্রোফাইল তৈরি করে অশ্লীল পোস্ট করেছিল সে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই তাকে একাধিকবার ডেকে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু সে দেখা করেনি। এরপর ২৪ আগস্ট চারজন সঙ্গীকে নিয়ে দুপুর নাগাদ আলিপুরদুয়ার সাইবার ক্রাইম থানায় আসে মিজানুর।
শুরু হয় জেরা। সেই সময় আচমকাই অভিযুক্তদের কয়েকজন পুলিশ সুপারের দফতরেই তাণ্ডব শুরু করে। গায়ে হাত তোলা হয় এক মহিলা পুলিশ আধিকারিকের উপর। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচতে নিজের চেয়ার ছেড়ে পালিয়ে বাঁচেন ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিক। তাঁর আর্ত চিৎকারে ছুটে আসেন জেলা পুলিশ সুপার দফতরের অন্যান্য পুলিশ কর্মী ও আধিকারিক।
তাঁরাই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন। মিজানুর ও তার সঙ্গীরা সকলে কোচবিহারের পুন্ডিবাড়ির বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’