আর্থিক সাহায্য থেকে বাণিজ্য বৃদ্ধি, একাধিক চালে ভারতকে মাত দিতে চেয়েছিল চিন। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কূটনীতির সূক্ষ্ম চালে চিনের সেই আশায় একেবারে জল ঢেলেছে ভারত। করোনা পরিস্থিতিতে ভারত যেভাবে একের পর এক দেশকে ভ্যাকসিন দিয়ে সহায়তা করেছে, তাতে ক্রমশ নয়াদিল্লির বন্ধুরাষ্ট্রের সংখ্যা বাড়ছে, এতে বেশ চাপে চিন। এক সম্পাদকীয়তে এমনই মত প্রকাশ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এই রিপোর্টে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে করোনা পরিস্থিতির সুযোগে সাহায্য পাঠিয়েছে ভারত, বিভিন্ন দেশ উপকৃত হয়েছে। ফলে এক লাফে অনেকটাই সম্পর্ক দৃঢ় করতে পেরেছে নয়াদিল্লি, এই সব দেশগুলোর সঙ্গে।
করোনা ভ্যাকসিন কূটনীতিতে কার্যত মোদীর চালেই চিনকে টেক্কা দিয়েছে ভারত, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সম্পাদকীয় অনুযায়ী তেমনই মত প্রকাশিত হয়েছে। ভ্যাকসিনের সুপারপাওয়ার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ভারত, এতে বেশ কিছুটা বেকায়দায় চিন। বিদেশমন্ত্রকের সাম্প্রতিক হিসেব বলছে কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতি চলার সময় ভারত বিশ্বের ১৫০টি দেশকে সাহায্য করেছে। কোথাও অনুদান হিসেবে, কোথাও আবার চুক্তির ভিত্তিতে ভারত দেশগুলিকে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে।
বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন নেপাল, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, ভুটান এবং মরিশাসে সবার আগে ভ্যাকসিন পাঠানো হবে। ভারত থেকে টিকা পৌঁছনের পরই টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করবে তারা৷ প্রথম দফায় শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসাবেই ভ্যাকসিন পাঠানো হবে প্রতিবেশী দেশগুলিতে৷ পরবর্তী সময়ে তাদের ভারত বায়োটেক বা সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াকে পেমেন্ট করে ভ্যাকসিন নিতে হবে৷
ভারতে গণটিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, ‘‘দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হলেই প্রতিবেশী দেশে কোভিড ভ্যাকসিন পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। কথা মতোই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টিকা পৌঁছে দেবে ভারত।” প্রসঙ্গত, সেরাম ইন্সটিটিউটের কাছে ৩ কোটি ভায়াল কোভিশিল্ড চেয়েছে বাংলাদেশ। ১ কোটি ২০ লক্ষ ভায়াল ভ্যাকসিন চেয়েছে নেপাল। জরুরি ভিত্তিতে ২০ লক্ষ টিকা চেয়েছে ব্রাজিল। সেই মতো দেশগুলিতে পৌঁছে গিয়েছে ভারতের ভ্যাকসিন।