দ্বিতীয়বার বিপুল ভাবে জিতে আসার পর নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেছেন বিশ্বের রাষ্ট্রনেতারা। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের এই নির্বাচনে তাঁরা যে মোদীর নিরঙ্কুশ জয়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন, তা তাঁদের অভিনন্দন বার্তা থেকেই পরিষ্কার।
সবসময়েই যাদের সঙ্গে যুদ্ধ হয়-হয় ভাব, সেই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মোদীকে তাঁর বিপুল জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে টুইটারে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, উন্নয়ন সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করব আমরা। সৌজন্য সহকারে ইমরানের টুইটারের জবাব দিয়ে মোদী বলেছেন, তিনি দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও উন্নয়নকে সবসময়েই প্রাধান্য দিয়েছেন।
‘বিশাল’ জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ভারত ও আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও ভালো হবে। টুইটারে এই অভিনন্দন বার্তা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমরা যে সব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছি, সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাব।”
অভিনন্দনের বার্তা এসেছে রাশিয়া, চিন, ফ্রান্স, জাপান, ইজরায়েল, বাংলাদেশ, নেপাল ও সিঙ্গাপুর থেকেও। সবচেয়ে প্রথমে মোদীকে টেলিফোন করে অভিনন্দন জানান রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, তাঁরা দুজনে একসঙ্গে রণনীতি নিয়ে একসাথে কাজ করবেন। চিনা প্রেসিডেন্ট জ়ি জিনপিং বলেন, তিনি ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতির বিষয়টি গুরুত্ব দেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তিনি মোদীর সঙ্গে কাজ করতে চান বলেও মন্তব্য করেছেন।
মোদীকে ‘মাই ফ্রেন্ড’ সম্বোধন করে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু বলেন, “এই নির্বাচনের ফলাফল থেকেই বোঝা যাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের আস্থা আপনার উপরেই আছে।” মোদীকে টেলিফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজ়ো আবে। তিনি বলেন, ভারত ও জাপানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে ও সামগ্রিক শান্তি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে তাঁরা কাজ করবেন।
মোদীকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা ও টেলিফোন করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিঙ্ঘে, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি, বাংলাদৈাশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মি ওলি, ভুটানের রাজা জিগমে খেশর ওয়াংচুক-সহ আরও বেশ কিছু দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা।