মানুষ ভয়ে আছেন আর মুখ্যমন্ত্রী লীলাখেলা সামলাচ্ছেন, বিস্ফোরক দিলীপ

জিয়াগঞ্জের ঘটনায় ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। ইতিমধ্যে ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব হয়েছে রাজ্য বিজেপি। ইতিমধ্যে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনেরও দাবি তুলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। কৈলাশ বিজয়বর্গী দাবি করেছেন, দ্রুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিৎ।

এই অবস্থায় আগামিদিনে খোদ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। একদিকে যখন জিয়াগঞ্জের ঘটনাকে সামনে রেখে জোরদার আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব ঠিক সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে নজিরবিহীন আক্রমণ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।

দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘নিহত শিক্ষকের দাদা বলেছেন, বন্ধুপ্রকাশবাবু কোনও আরএসএসের কর্মী ছিলেন না। তবে চাঁদা দিতেন।

ভাই কোন সংগঠন করতেন তা দাদা জানবেন কী করে। দীর্ঘদিন দাদা-ভাই আলাদা জায়গায় থাকতেন বলে দাবি বিজেপি সাংসদের। শুধু তাই নয়, এখানেই তাঁর প্রশ্ন, একসঙ্গে দীর্ঘদিন না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে জানলেন ভাই কোন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। নিহতের দাদা’র সমস্ত দাবি উড়িয়ে দিয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘নিহত শিক্ষক ছোটবেলা থেকেই আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিজেপির সমর্থক ছিলেন।’ এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাচাছোলা ভাষায় আক্রমণ মেদিনীপুরের এই বিজেপি সাংসদ। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এই সরকারের এক্সপায়ারি হয়ে গিয়েছে। দিদির এক্সপায়ারি হয়ে গিয়েছে।’

অন্যদিকে আজ রেড রোডে দুর্গা কার্নিভাল রয়েছে। তা নিয়েও ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, ‘একদিকে মানুষের মৃত্যু মিছিল চলছে, অন্যদিকে পুজো কার্নিভাল হচ্ছে। সেই আনন্দ দিয়ে দুঃখকে চাপা দেওয়া যাবে কি না আমার জানা নেই। প্রশাসন সামলাতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী লীলা খেলা সামলাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ ভয়ে আছে।

অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে আদতে সাহাপুরের বাসিন্দা হলেও, ছেলের পড়াশোনার জন্য ওই পরিবার পরে মুর্শিদাবাদে চলে আসে৷ কোনও বিবাদের জেরে এই খুন কীনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন কোনও শত্রুতা ওই পরিবারের কারোর সঙ্গে ছিল না৷ তবে খুব নির্মম ভাবে ওই পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷

শুক্রবার সকালে ট্যুইট করে অপর্ণা লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে আরএসএস কর্মীর গভর্বতী স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করা হয়েছে। এই নৃশংস ঘটনার কারণ যাই হোক না কেন, এটা আমাদের কাছে লজ্জার। ম্যাডাম সিএম! দয়া করে রাজনীতির রঙ না দেখে ন্যয়বিচারের ব্যবস্থা করুন। পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক নাগরিকের দায় আপনার। আপনি সবার মুখ্যমন্ত্রী!’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.