কাশ্মীরের মনের কথা উঠে এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে৷ রবিবার নিজের রেডিও অনুষ্ঠন মন কি বাতে মোদী বললেন কাশ্মীরের কথা৷ তিনি এদিন জানান যারা দেশের ভিতরে, বিশেষ করে কাশ্মীরে উন্নয়ন থামিয়ে হিংসা ছড়াচে চাইছে, তারা কোনওদিন সফল হবে না৷
কেন্দ্র কাশ্মীর নিয়ে বিশেষ যত্নবান বলেও এদিন উল্লেখ করেন তিনি৷ মোদীর কথায় উন্নয়নের জোর বুলেট বা বোমার থেকে অনেক বেশি৷ সেটা কাশ্মীর বোঝে৷ আর তাই কাশ্মীর খাবার চায়, উন্নয়ন চায়, চাকরি চায়৷ বোমা-গুলি দিয়ে সেই দাবি পূরণ যে কোনও দিন সম্ভব নয়, তা কাশ্মীরের শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ বোঝেন৷
কাশ্মীরে উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে বলে এদিন মোদী জানান, জম্মু কাশ্মীরে গ্রামোন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে৷ গ্রামে গ্রামে একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে৷ সেই সব কাজে গ্রামবাসীদের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণই বলে দেয় তাঁদের চাহিদার কথা৷ তাঁরা চাইছেন কাশ্মীরে শান্তিতে বাস করতে, যা মুষ্ঠিমেয় কিছু মানুষের ষড়যন্ত্রে হচ্ছে না৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতে কাশ্মীরের যুবকরা আইনের অনুশাসন চান৷ যার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র৷
সীমান্তে কড়া পাহারা আর কাশ্মীরের মধ্যে সেনার টহল সেই জোর ফিরিয়ে আনছে মানুষের মনে৷ তিনি বলেন, এই প্রথম কাশ্মীরের গ্রামে গ্রামে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বার্তা নিয়ে ৪৫০০টি পঞ্চায়েতে কাজ শুরু করেছেন সরকারি আধিকারিকরা৷ তাঁরা সাধারণ কাশ্মীরিদের সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা বোঝাবেন৷
সীমান্তের নিকটবর্তী গ্রামগুলিতেও তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন, সেই প্রান্তিক গ্রামগুলির মানুষও যাতে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পান, তার ব্যবস্থা করছেন আধিকারিকরা৷ মোদী বলেন, অতিস্পর্শকাতর গ্রামগুলিতে সুনিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ সোপিয়ান, কুলগাম, অনন্তনাগ ও পুলওয়ামার মতো জেলাতেও এই কাজ চলেছে৷ সন্ত্রাস বিধ্বস্ত কাশ্মীরে হাসি ফোটাতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র সরকার৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন ৩ লক্ষেরও বেশি অমরনাথ যাত্রী এবছর তাঁদের যাত্রা পূর্ণ করেছেন৷ কোথাও কোনও নিরাপত্তা বিঘ্ন হওয়ার খবর মেলেনি৷ ২০১৫ সালের পর থেকে যা একটা রেকর্ড৷ এত সংখ্যক তীর্থযাত্রী একসাথে এরআগে কখনও যাত্রা করেননি৷