হিন্দুদের অপমান করে পোস্টার লাগলো বামপন্থীরা! কেরলের কলেজে করা হলো হিন্দু বিরোধী কার্যকলাপ।

সিপিএম আরো একবার আয়াপ্পা ভক্তদের অপমান করে খ্রিষ্টান ও মুসলিম তোষণের চেষ্টা করেছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, থ্রিসুরের কেরলবর্মা কলেজে স্টুডেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (SFI) একটা আপত্তিজনক পোস্টার লাগিয়েছে। জানিয়ে দি, SFI কেরলের ক্ষমতাধারী দল CPM এর ছাত্র সংগঠন। অর্থাৎ পুরোপুরি বামপন্থীদের কব্জায় রয়েছে কেরল। যে পোষ্টার লাগানো হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে এক মহিলার মাসিকের ধর্মের দরুণ রক্ত গড়িয়ে পড়ছে এবং দুই পায়ের মাঝখানে ভগবান আয়াপ্পাকে উল্টো দিকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পোস্টারে লিখা হয়েছে, ” যারা মাসিকে অপবিত্র মনে করে তারা নিজের জন্মকেও অস্বীকার করছে।” আয়াপ্পা ভক্তদের উদেশ্য করে এই পোষ্টার লাগানো হয়েছে কারণ সবরিমাল মন্দিরে মহিলা প্রবেশ নিষিদ্ধ। এটা কেরলের সকল হিন্দু নারী পুরুষ মেনে চললেও, বামপন্থীরা এটা মেনে নিতে পারছে না।

আয়াপ্পা ভক্তদের এইভাবে অপমান করার কারণ হিন্দুদের কিছু কালচারকে ভেঙে ফেলা। আসলে ভারতে মন্দির শুধুমাত্র উপাসনার কারণে তৈরি করা হতো না। বিভিন্ন মন্দির বিভিন্ন কারণে তৈরি করা ভ
হতো। ভারতে এমন অনেক মন্দির আছে যেখানে পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ আবার কিছু মন্দির আছে যেখানে মহিলা প্রবেশ নিষিদ্ধ। এখানে কোনো পুরুষ বিদ্বেষ বা মহিলা বিদ্বেষ নেই পুরোটাই কোনো না কোনো বিশেষ কারণে করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ, সবরিমালা মন্দিরে ৫০ বছরের কম বয়সের মহিলারা প্রবেশ করে না কারণ ওই মন্দিরের উপাসক ভগবান আয়াপ্পা ব্রহ্মচারী ছিলেন।

কিন্তু বামপন্থীরা সমাজের চোখে হিন্দু ধর্মকে কুসংস্কারে পরিপূর্ণ দেখানোর চেষ্টা করে। যার জন্যেই ওই মন্দিরে কেরলের সরকার মহিলাদের জোর পূর্বক ঢুকিয়ে নিয়ম ভঙ্গ করার চেষ্টা করেছিল। অবশ্য হিন্দু মহিলারা নিয়ম বিধি জানায় তারা প্রবেশ করতে চান না, তাই কেরলের বামপন্থী সরকার মুসলিম ও খ্রিস্টান মহিলাদের ওই মন্দিরে ঢুকিয়ে মন্দিরের বিধি ভেঙেছিল। জানিয়ে দি, বামপন্থীদের মূল মাথায় যারা থাকে তারা বেশিরভাগ জনই ক্রিপ্টো খ্রিস্টান অর্থাৎ যে খ্রিস্টানরা নিজেদের আসল পরিচয় লুকিয়ে রাখে।ক্রিপ্টো খ্রিস্টানরা উপরে উপরে নিজেকে হিন্দু দেখানোর চেষ্টা করে কিন্তু কাজ হিন্দু সংস্কৃতিকে মুছে ফেলার জন্য করে।

উদাহরণ হিসেবে গৌরী লংকেশ একজন ক্রিপ্টো খ্রিষ্টান ছিলেন যিনি নিজের নামের সাথে গৈরি যুক্ত করে নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিতেন কিন্তু তার মৃত্যুর পর শেষ কার্য সম্পন্ন করার সময় খ্রিস্টান নিয়মে পালন করা হয়েছিল। পূর্ব রাষ্ট্রপতি R.K নারায়ণ হিন্দু নামে সারাজীবন অতিবাহিত করেছিলেন কিন্তু মৃত্যুর পর খ্রিষ্টান পদ্ধতিতে অন্তিম কার্য সম্পন্ন করা হয়েছিল। এই ধরনের ক্রিপ্টো খ্রিস্টান তথা হিন্দু বিরোধী বামপন্থীদের পথ নির্দেশ করে যার জন্য এরা হিন্দু বিরোধী কার্যকলাপ চালায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.