ভারতে করোনার ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য অনেকে দায়ী করেছেন ডেল্টা প্রজাতিকেই। সেই প্রজাতিই রূপ বদলে হয়ে গিয়েছে ডেল্টা প্লাস। মহারাষ্ট্র সরকারের আশঙ্কা সময়ের আগেই নাকি তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে রাজ্যে। নতুন প্রজাতি কি তার জন্য দায়ী হবে?
সারস সিওভি টু নিয়ে এখনও অনেক তথ্য পরিষ্কার নয়। তবে বিজ্ঞানীরা একটি বিষয়ে নিশ্চিত যে এই প্যাথোজেন খুব তাড়াতাড়ি রূপ বদলে ফেলছে। ইনস্টিটিউ অফ জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির জৈববিজ্ঞানের গবেষক বিনোদ স্কারিয়া সম্প্রতি টুইট করে জানিয়েছেন, ‘ক্রমাগত রূপ বদলাতে পারে সারস সিওভ টু। প্রায় ক্রমাগত নতুন প্রজাতি তৈরি হচ্ছে এবং সেগুলোও রূপ বদলে আরও প্রজাতি দেখা যাচ্ছে।’
বি.১.৬১৭.২ বা ডেল্টা প্রজাতি রূপান্তরিত হয়ে তৈরি হয়েছে ডেল্টা প্লাস। এই নতুন প্রজাতি নিয়ে এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে।
১। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, এখনই এই নতুন প্রজাতি নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই।
২। মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল কাজ করে না এই প্রজাতির উপর।
৩। এই প্রজাতির সংক্রমণ হার দেশে এখনও সীমিত তাই এখনও এটা ভিওসি (ভ্যারিয়্যান্ট অফ কনসার্ন) হয়ে ওঠেনি। মানে এখনই এই প্রজাতি নিয়ে তেমন উদ্বেগ প্রকাশ করছেন না বিশেষজ্ঞেরা।
৪। বি.১.৬১৭.২.১ (ডেল্টা প্লাস) এর লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য কে৪১৭এন মিউটেশন।
৫। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা মোট ডেল্টা প্রজাতির মোট ৬৩ জেনোমের সন্ধান পেয়েছে যাতে কে৪১৭ মিউটেশন দেখা গিয়েছে।
৬। ইউরোপ, এশিয়া এবং আমেরিকার বেশ কিছু অংশে ডেল্টা প্লাস প্রজাতি যতটা ছড়িয়ে পড়েছে, ভারতে এখনও ততটা পড়েনি।
ইমিউনোলজিস্ট বিনীতা বালের মতে, ‘‘এই নতুন প্রজাতি কতটা আশঙ্কার বিষয় তা বুঝতে গেলে প্রথমেই দেখতে হবে এর সংক্রমণে হার কতটা। যত তাড়াতাড়ি বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে ছ়ড়িয়ে পড়বে, তত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে। তাই যাঁদের সংক্রমণে এই নতুন প্রজাতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের পর্যবেক্ষণ রাখা প্রয়োজন।’’