প্রথম দফার ভোটেই অশান্ত উত্তরপ্রদেশ। ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোটকর্মীদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের গণ্ডগোলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশের কৈরানা লোকসভা কেন্দ্রের রসুলপুর-গুজরান গ্রাম। পরিস্থিতি শান্ত করতে বাধ্য হয়ে শূন্যে গুলি চালাতে হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। সেখানে গিয়ে পৌঁছন পুলিশ সুপার ও জেলাশাসক। তাঁরা অনেক বুঝিয়ে গ্রামবাসীদের শান্ত করলে তারপর ফের শুরু হয় ভোটগ্রহণ।
উত্তরপ্রদেশের কৈরানা লোকসভা কেন্দ্রে এ বার মূলত ত্রিমুখী লড়াই। সপা-বসপা জোট, বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যেকার এই লড়াইয়ে ভোটের আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল এলাকা। মোতায়েন ছিল প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ কান্ধলা থানার রসুলপুর-গুজরান গ্রামের দুই বাসিন্দা অভিযোগ করেন, তাঁরা ভোট দিতে দিলে ভোটকর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। তাঁদের হয়ে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীকে ভোট দিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন ওই দুই গ্রামবাসী। তাঁদের মুখে এই কথা শুনে গ্রামের বহু মানুষ ভোটকেন্দ্রে এসে জড়ো হন। শুরু হয় গণ্ডগোল।
জানা গিয়েছে, ভোটকর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। এই কথা কাটাকাটি ধীরে ধীরে গড়ায় হাতাহাতিতে। ইতিমধ্যেই সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থকরাও এসে হাজির হন। পুলিশ সূত্রে খবর, তারা পরিস্থিতি সামলাতে গেলে তাদের উদ্দেশে পাথর ছুড়তে থাকে জনতা। এমনকী গুলি চালানো হয় বলেও জানা গিয়েছে। বাধ্য হয়েই শূন্যে গুলি করে পুলিশ। তখনকার মতো এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়।
সূত্রের খবর, এরপরেই গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের বিনা কারণে মারধর করেছে। এই অভিযোগ তুলে ভোট বয়কট করার ডাক দেন তারা। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন পুলিশ সুপার ও জেলাশাসক। তাঁরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বোঝান। ভোটের দায়িত্বে থাকা অভিযুক্ত ভোটকর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর ফের ভোট দিতে আসেন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনার জন্য বিজেপি, কংগ্রেস, ও সপা-বসপা জোট একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। তবে এখনও এলাকার পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। যাতে আর এই ধরণের কোনও ঘটনা না হয়, তার জন্য বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।