ভারতের সবথেকে পুরানো পার্টি হওয়ার নাম খ্যাতি কংগ্রেস পার্টির (Congress) কাছে রয়েছে। কংগ্রেস পার্টি স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশদের দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল এবং এখনও ওই পার্টির অস্থিত রয়েছে যার মুখ্য নেতৃত্ব করেন ইউরোপের মহিলা সোনিয়া গান্ধী(এন্টোনিয়া মাইনো) (Sonia Gandhi)। কংগ্রেসের কাছে ভারত থেকে দেশের সবথেকে পুরানো রাজনৈতিক পার্টি হওয়ার মর্যাদা থাকার সাথে সাথে সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্থ পার্টি হওয়ার কুখ্যাতি রয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের, বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি(CIA) কংগ্রেসের উপর বড় পর্দাফাঁস করেছে। CIA এর রিপোর্টে গান্ধী পরিবারের মুখোশ খুলে দিয়েছে।
বফোর্স দুর্নীতি কংগ্রেস আমলের একটা বড় দুর্নীতি। যার এই ইস্যুতে একটা রিপোর্ট CIA কাছে রয়েছে। CIA এই রিপোর্ট এখন গুপ্তসূচী থেকে সরিয়ে নিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজীব গান্ধী বফোর্স দুর্নীতিতে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। এমনকি উনার নির্দেশের কারণেই সুইডেন সেই সময় বফোর্স মামলার উপর তদন্ত বন্ধ করেছিল।ফলস্বরূপ রাজীব গান্ধী সাজার হাত থেকে বেঁচে যান। সুইডেন রাজীব গান্ধীকে বাঁচানোর জন্যেই এমনটা করেছিল।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৮৭ সালে রাজীব গান্ধী স্টকহোলম যাত্রায় গেছিলেন। যার পরেই বফোর্স দুর্নীতির তদন্তকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বফোর্স সুইডেনের অস্ত্র নির্মানকারী কোম্পানি ছিল যা ১৯৯১ সালে বন্ধ হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী , বফোর্স নিজেদের অস্ত্র ভারতে বিক্রি করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী সহ বেশকিছু উচ্চপদস্ত কর্তাকে ঘুষ দিয়েছিল। রিপোর্ট সামনে আসার পর ভারতের মিডিয়া নিশ্চুপ থাকলেও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এই নিয়ে ব্যাপক চর্চা দেখা গেছে।
এই দুর্নীতির সবথেকে লজ্জাজনক বিষয় এই যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজে দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন। কংগ্রেস পার্টি সমস্থ কিছু জানার পরেও তাদের সরকার ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধীকে ভারতরত্ন উপাধি প্রদান করেছিল। অনেকের দাবি রাজীব গান্ধীর ভারতরত্ন উপাধি ফেরত নেওয়া উচিত। কারণ রাজীব গান্ধীকে ওই উপাধি দেওয়ার জন্য উপাধির মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। বফোর্স মামলার রিপোর্ট বলা হয়েছে, প্রায় ৪ কোটি ডলার কমিশন দালালদের দেওয়া হয়েছিল।
তবে কংগ্রেস আমলে বফোর্স ছাড়াও আগস্থা ওয়েস্টল্যান্ড হেলিকপ্টার দুর্নীতি, কোল দুর্নীতি সহ প্রায় ৫০ টি বড় দুর্নীতি হয়েছে যার কোনো তদন্ত সম্পন্ন হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয়রা নিজের পরিশ্রম দিয়ে দেশকে সমৃদ্ধশালী করার চেষ্টা করলেও দেশের সবথেকে পুরানো রাজনৈতিক পার্টি কগ্রেস দেশকে ভেতর থেকে উইপোকার মতো খেয়ে এসেছে।