এবার বিশ্বস্তরীয় মঞ্চে মোদী চীনের গলা ধরতে শুরু করে দিয়েছে। পাকিস্থানের উপর যেভাবে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির কাজ হয়েছিল সেই একইভাবে চীনের উপর বিশ্বব্যাপী চাপ সৃষ্টি করার কাজ শুরু হয়ে গেছে। এর প্রভাবও দেখা দিতে শুরু হয়ে গেছে। মোদী চীনকে চাপে ফেলতে সফল হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আসলে কয়েকদিন আগে ভারত সরকার UN তে মাসুদ আজহারকে আতঙ্কবাদী ঘোষণার জন্য প্রস্তাব রেখেছিল। কিন্তু চীন নিজের ভিটো পাওয়ার ব্যাবহার করে মাসুদকে বাঁচিয়ে নেয়। যারপর থেকে ভারত চীনের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে পড়ে।
ভারত চীনের দুমুখো নীতির বিরুদ্ধে পুরো বিশ্বে আওয়াজ তুলতে শুরু করে। ভারত সরকারের সাথে সাথে রাষ্ট্রবাদী ভারতীয়রা সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে চীনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে। ভারতের বহু ব্যাবসায়ী সংগঠনও চীনের মাল বয়কট করার ডাক দেয়। চীন আতঙ্কবাদীদের সাথ দেয় এই বিষয়টি ভারত সরকার পুরো বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে শুরু করলে চীনের আন্তর্জাতিক ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ফ্রান্স এবং ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের দেশগুলি ভারতের সমর্থনে দাঁড়িয়ে পড়ে। যায় ফলে চীনের নীতির পর্দাফাঁস হয়ে যায়। পুরো বিশ্বে দ্রুতগতিতে চীনের উপর নেগেটিভ ভিউ ছড়িয়ে পড়তে শুরু হয়েছে। চীনকে যাতে পুরো বিশ্বে আতঙ্কবাদ সমর্থক দেশ হিসেবে গণ্য না করা হয় তাই চীন এবার সাবধান হতে শুরু করেছে। চীনের রাজদূত গতকাল দিল্লীতে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছেন। চীনের রাজদূত বলেছেন, কৃপা করে ভারত আমাদের উপর ভরসা রাখুক, আমরা খুব শীঘ্রই মাসুদ আজহারের ইস্যুকে সমাধান করবো। ভারতীয়রা যাতে চীনের উপর ভরসা রাখে তার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
চীন একদিকে থেকে ভারতের সামনে হাতজোড় করে দিয়েছে। চীন বলতে চেয়েছে যা ভারত যেন তাদের বিরুদ্ধে নেগেটিভ প্রচার বন্ধ করে এবং তাদের উপর ভরসা রাখে। চীনের ছবি আন্তর্জাতিক মহলে খারাপ হচ্ছে ফলে চীনকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এই ভয়ে চীন ভারতের সামনে হাতজোড় করে দিয়েছে এবং মাসুদ আজহারের মামলাকে সমাধান করার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। মোদী আন্তর্জাতিক মহলে চীনের উপর যে চাপ সৃষ্টি করেছে তার প্রভাব এখন স্পষ্ট দেখা যেতে শুরু হয়েছে। চীন তার ভিটো পাওয়ার আতঙ্কবাদীদের বাঁচানোর জন্য ব্যাবহার করছে এটা পুরো বিশ্ব বুঝতে শুরু করছে যাতে রীতিমতো চাপে পড়ে দিল্লীতে মুখ খুলেছে চীনের রাজদূত।