সোমবার দেশীয় শিল্পের স্বার্থে ভারত একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। RCEP অর্থাৎ ভারত আঞ্চলিক বিস্তৃত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের সাথে ভারত জড়িত হবে না এবং দেশের বাজারগুলি সস্তা বিদেশী পণ্য দ্বারা ভরাট হবে না। RCEP হলো একটি চুক্তি, যার ভিত্তিতে চীনের খপ্পরে ভারত খারাপভাবে আটকা পড়তে পারে। তবে দেশীয় শিল্পের স্বার্থ বিবেচনায় মোদী সরকার এই চুক্তিতে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন কিন্তু সেখানে ভারতের স্বার্থ নিয়ে কোনও আপস করেননি।
RCEP চুক্তিটি ১০ এশিয়ান দেশ এবং ৬ টি অন্যান্য দেশের অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, জাপান, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। এই চুক্তিতে জড়িত ১৬ টি দেশ একে অপরকে বাণিজ্যে ট্যাক্স কাটা সহ সমস্ত অর্থনৈতিক ছাড় দেবে। ভারত যদি RCEP চুক্তিতে পৌঁছে যেত, তবে ভারতের বাজারে সস্তা চীনা পণ্যের বন্যা হত। আমেরিকার সাথে চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে, যার ফলে লোকসানের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
চীন আমেরিকাতে বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ তুলতে চায় ভারত ও অন্যান্য দেশের বাজার থেকে। এমন পরিস্থিতিতে আরসিইপি চুক্তি নিয়ে চীন সবচেয়ে বেশি উৎসাহ। কিন্তু এতে সবথেকে বেশি ক্ষতি হতো ভারতের। তাই ভারত এই চুক্তি এড়িয়ে চলেছে। RCEP তে যোগ দিলে ভারতকে এশিয়ান দেশ, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা ৯০% পণ্যের শুল্ক সরিয়ে নিতে হতো। এছাড়াও, চীন, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড থেকে আসা ৭৪% পণ্যকে শুল্ক থেকে ছাড় দিতে হতো।
এই পদক্ষেপ ভারতের পক্ষে আত্মঘাতী প্রমাণ হতে পারত। আরসিইপির ১৬ সদস্যের দেশের GDP সমগ্র বিশ্বের জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ এবং বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেক অংশ এতে জড়িত। চুক্তিতে পণ্য ও পরিষেবা আমদানি-রফতানি, বিনিয়োগ এবং বৌদ্ধিক সম্পত্তির বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি চীনের জন্য একটি বড় সুযোগের মতো কারণ বাকি দেশগুলি উৎপাদন চীনের সামনে কিছুই নয়।