ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ ঘুরিয়ে ভারতকে জলশূণ্য করার ছক কষছে চিন৷ কিন্তু চিনের এই পরিকল্পনা যাতে বাস্তবায়িত না হয় সেই কারণে ভারত ব্রহ্মপুত্র নদের জল সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা নিয়েছে৷ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের বাঁধ থেকে জল ছাড়ার সময়ই সেই জল ভারত নিজেদের জলাধারে সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা করছে৷
ভারতকে জলশূণ্য করার পরিকল্পনা যাতে চিনের কোনওভাবেই বাস্তবায়িত না হয় সেই কারণেই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেন্দ্র৷ বছরখানেক আগে এই সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১.৮বিলিয়ন কিউবিক জল ভারত সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ কারণ এই ব্রহ্মপুত্র নদের জল থেকেই চারটি হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্টের কাজ চলে৷ যেগুলি রয়েছে অরুণাচল প্রদেশে অবস্থিত সিয়াং, লোহিত, সুবানসিরি এবং দিবাং নদীর উপরে৷ প্রাথমিকভাবে সিয়াংয়ে ১০হাজার মেগাওয়াট প্রোজেক্টের উপর নজর দিচ্ছে কেন্দ্র৷ যেখানে ৯.২ বিলিয়ন জল সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা রয়েছে৷ এই রিজারভার অসমের বন্যা নিয়ন্ত্রনে বহুল পরিমাণে সহায়তা করে৷
তিব্বত থেকে চিনের জিনজিয়াং এলাকা পর্যন্ত খোঁড়া হচ্ছে লম্বা ১০০০কিমি সুড়ঙ্গ৷ ব্রহ্মপুত্র নদের জল চিনের তাকলামাকান মরুভূমিতে প্রবেশ করানোই এর মূল লক্ষ্য৷ তাই ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদীর গতিপথ৷ সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে এটিই হতে পারে বিশ্বের সবথেকে বড় সুড়ঙ্গ৷ এমনই একটি বিষয় নিয়ে কয়েকদিন আগেই বিতর্ক শুরু হয়৷ কিন্তু চিন এই বিষয়টিকে একেবারেই অস্বীকার করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়ে দিয়েছিল এই ধরণের কোনও পরিকল্পনাই করেনি চিন৷ এটিকে একেবারেই মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে চিন৷
তবে, এখানেই উঠছে প্রশ্ন৷ যেখানে চিন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, এই বিষয়টি একেবারেই মিথ্যে সেখানে কেন ফের ভারত ব্রহ্মপুত্র নদের জল সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা করছে৷ সেক্ষেত্রে একটি বিষয় বলাই যায়, চিন যাতে কোনওভাবেই ভারতকে সমস্যায় ফেলতে না পারে, সেই কারণে আঁটোসাঁটো ভাবে আগে থেকেই সতর্ক রয়েছে ভারত৷