পুলওয়ামা কাণ্ডের মূল চক্রী মৌলানা মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করার চেষ্টা চার বার রুখে দিয়েছে চিন। প্রতিবারই তারা রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দিয়েছে। তারপর আমেরিকা থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছিল, মাসুদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণার জন্য অন্য রাস্তাও খোলা আছে। তাতে ক্ষুব্ধ হয়েছে চিন। বুধবার চিনের মুখপাত্র বলেছেন, ওয়াশিংটনের জন্য ব্যাপারটা জটিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাতে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সুবিধা হবে না। আমরা চেষ্টা করছি যাতে এই ইস্যুতে একটা সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে আসা যায়। কিন্তু তাতে বাধা দিচ্ছে আমেরিকা।
গত ২৭ মার্চ আমেরিকা নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করে। তাতে বলা হয়েছে, জইশ ই মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে কালো তালিকাভূক্ত করা হোক। তাঁর বিদেশ ভ্রমণের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। তাঁর সম্পত্তি ফ্রিজ করে দেওয়া হোক। তাকে কেউ যাতে অস্ত্র বিক্রি করতে না পারে, তা নিশ্চিত করা হোক।
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং এদিন বলেন, চিন চায় এই ইস্যুটির যথাযথ মীমাংসা হোক। সেজন্য গঠনমূলক ও অবস্থান নিয়েছে।
আমেরিকা সরাসরি মাসুদের ইস্যুটিকে নিরাপত্তা পরিষদে তোলায় গত সোমবার প্রতিক্রিয়া জানায় চিন। সেদেশের বিদেশ মন্ত্রক থেকে বলা হয়, আমেরিকা গঠনমূলক অবস্থান নিচ্ছে না। মঙ্গলবার আমেরিকা জানায়, মাসুদের বিরুদ্ধে তারা সবরকম পদক্ষেপ করতে তৈরি। বুধবার সেকথার প্রতিক্রিয়া জানাল চিনের বিদেশ মন্ত্রক।
এর আগে চিন থেকে দাবি করা হয়েছে, মাসুদের ইস্যু সমাধানের ক্ষেত্রে ‘অগ্রগতি’ হচ্ছে। এদিন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদের ওপরে কোনও প্রস্তাব জোর করে চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। সব সদস্যের মধ্যে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
গেং শুয়াং বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যাতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে একটা ইতিবাচক সমাধানে আসা যায়। আমেরিকা সেকথা ভালো করেই জানে। তার পরেও তারা একটি খসড়া প্রস্তাব আমাদের ওপরে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এর কোনও মানে হয় না।
আমেরিকার বিরুদ্ধে চিনের অভিযোগ, তারা রাষ্ট্রপুঞ্জের বিধি ও রীতিনীতি ভঙ্গ করছে।