দেশে নির্বাচন লড়াই এখন মহাসংগ্রামের স্তরে পৌঁছে গেছে। ক্ষমতাধারী দল হোক বা বিরোধী পার্টি, সকলেই এখন জনগণের কাছে নিজেদের আওয়াজ পৌঁছানোর জন্য প্রয়াস করছে। বিগত কিছুদিনের মধ্যে দেশের দুই বড়ো পার্টি কংগ্রেস ও বিজেপি নিজেদের মেনুফেস্ট তথা ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছে। রাহুল গান্ধী কয়েকদিন আগেই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছেন এবং দেশদ্রোহী আইন মুছে দেওয়া কথা বলেছেন। অর্থাৎ ভারত বিরোধীদের জন্য বড় উপহার দেবেন রাহুল গান্ধী। অন্যদিকে ৩৭০ ধারা নিয়ে একটাও কথা বলেননি রাহুল গান্ধী।
সম্প্রতি বিজেপিও তাদের ঘোষণাপত্র জারি করে দিয়েছে। বিজেপি এটাকে সংকল্পপত্র নাম দিয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, ২০২২ পর্যন্ত আমরা ৭৫ টি সঙ্কল্প নিয়েছি যার মধ্যে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা উঠিয়ে দেওয়া একটা মুখ্য কাজ। উনি বলেছেন বিজেপি পুনরায় ক্ষমতায় এলে কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ ও 35A উঠিয়ে দেওয়ার জন্য সরকার প্রতিবদ্ধ হবে। যে কোনো উপায়ে ৩৭০ ধারা উঠিয়ে দেওয়া হবে।
বিজেপি তাদের সঙ্কল্পপত্র বলেছে যে, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা মুছে ফেলার উপর কাজ করা হবে। একইসাথে কাশ্মীর পন্ডিতদের ঘর ফেরানোর কাজ করা হবে। দেশের টাকা বাঁচানোর জন্য ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ লাগু করার জন্য কাজ করা হবে বলে সঙ্কল্পপত্রতে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ৫ বছরের মধ্যে নকশালবাদকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলা হবে, এমন পতিশ্রুতি সঙ্কল্পপত্রে দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি রাষ্ট্রবাদের প্রতি নিজেদেরকে প্রতিবদ্ধ হিসেবে গণ্য করেছে এবং আতঙ্কবাদের উপর জিরো টলারেন্স নীতি লাগু করার কথা বলেছে। এছাড়াও অবৈধ অনুপ্রবেশ আটকানো এবং সিটিজেনশিপ আমেনমেন্ট বিল আনার জন্যেও কাজ করা হবে বলে পতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।