সদস্য বেড়ে ১১ কোটি, রেকর্ড ভাঙতে ২০ কোটি টার্গেট বিজেপির

সদস্য বাড়ানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত ১১ কোটি নতুন সদস্য হয়েছে বলে শনিবার জানালেব বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। তবে ২০ কোটি সদস্য তৈরি করাই লক্ষ্য বলে জানালেন তিনি।

একইসঙ্গে অন্যান্য রাজনেতিক দলগুলির বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তিনি। বলেছেন, দেশের জন্য কাজ করার কোনও ইচ্ছে নেই অন্যান্য দলের। শুধুই চেয়ার দখলের চিন্তা করছেন বিরোধীরা। তিনি আরও বলেন, গত ৫০ দিনে মোদী সরকার যে কাজ করেছে, তাতে ৫ ট্রিলিয়নের অর্থনীতির দিকে একধাপ এগিয়ে গিয়েছে ভারত।

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, ‘আমরা বিশ্বের সবথেকে বড় পার্টি। আমরা কারও সঙ্গে প্রতিযগিতা করছি না। আমরা এখন নিজেদেরই রেকর্ড ভাঙতে চাইছি। আর তার জন্য ২০ কোটি সদস্য টার্গেট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নাড্ডা স্পষ্ট জানান, একথা অন্যান্য দলও স্বীকার করে নিয়েছে যে তারা বিজেপির থেকে অনেক পিছনে রয়েছে, চাইলেও তারা বিজেপির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে ১৩০০ রাজনৈতিক দল আছে। কারও ছেলে আছে রাজনীতিতে, আবার কোনও দলে বিশেষ জাতির হলে তবেই রাজনীতি করা যায়। কিন্তু বিজেপি হল একমাত্র দল যেখানে একজন সাধারণ মানুষ সর্বোচ্চ পদে পৌঁছে যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের কথা উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, এরা সাধারণ পরিবার থেকে এসে রাজনীতির শিখরে পৌঁছে গিয়েছেন। বিজেপি গণতন্ত্রের মূল্য দেয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তাঁর দাবি, বিজেপিই একমাত্র দল যাদের নেতা, পলিসি, উদ্দেশ্য, কর্মী সবটাই রয়েছে। অন্য কোনও দলের পলিসি নেই, তারা শুধুই চেয়ার চায়।

অমিত শাহের এই ডেপুটি দাবি করেন, কংগ্রেস মুক্ত ভারত বলতে তাঁরা শুধু কংগ্রেস দলের কথা বোঝান না। তাঁরা দুর্নীতি-মুক্ত, কমিশন-মুক্ত ভারতের কথা বলেন।

অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহেই কলকাতায় আসতে পারেন জেপি নাড্ডা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ লোকসভা নির্বাচনের পর তিনি রাজ্যে আসেননি৷ কিন্তু, এর মাঝেই বিজেপিতে পালাবদল হয়েছে৷ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত শাহ বেছে নিয়েছেন কার্যকরি সভাপতি জগৎপ্রসাদ নাড্ডাকে৷

মন্ত্রকের ব্যস্ততার কারণে তাঁর কাজের কিছুটা ভার দেওয়া হয়েছে মোদী সরকারের প্রাক্তন এই স্বাস্থমন্ত্রীকে৷ দলের অন্দরে অনেকেই তাঁকে ‘জেপি’ বলে ডাকেন৷ ইদানিং অনেকেই বলছেন, তিনি নাকি অমিত শাহের ‘ডেপুটি৷’

তুখড় সংগঠন ‘জেপি’ বিজেপির কার্যকরি সভাপতি হিসাবে এই প্রথম কলকাতায় আসছেন৷ সম্ভবত, তিনি ১০ অগস্ট কলকাতায় এসে পৌঁছবেন৷ শোনা যাচ্ছে, তিনি বেশ কয়েকটি সাংগঠনিক সভা করবেন৷ সেগুলি অন্তর্দলীয় সভা৷ বন্ধ দরজার ভিতরে কী হবে তা দলের সাধারণ কর্মীরা জানতে পারবেন না৷ তবে সাধারণ কর্মীদের জন্য শহরের কোনও বড় প্রেক্ষাগৃহে সভার আয়োজন করা হতে পারে৷ যা খবর, বিস্তারক কর্মসূচি শেষ হয়ে যাওয়ার পর রাজ্যে পার্টির কী অবস্থা তা খতিয়ে দেখবেন তিনি৷ দেখবেন সদস্যতা অভিযানের ফল কতটা পাওয়া গিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.