সংকল্প যাত্রায় মন্দির বন্ধ দেখে সাংসদ আলুওয়ালিয়ার ক্ষোভ

কিছু মানুষ মন্দিরকে পিতৃদত্ত সম্পত্তি ভেবে যা খুশি করছে। পুজো দিতে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু মন্দির খোলা বা বন্ধের নির্দিষ্ট নিয়ম আছে – তা মানা হচ্ছে না। শুক্রবার সকালে গান্ধী সংকল্প যাত্রায় বেরিয়ে বর্ধমানের ঐতিহাসিক কাঞ্চন নগরের কঙ্কালেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে মন্দিরের তালাবন্ধ দেখে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর আলুওয়ালিয়া।

জেলা বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার শহরের কোর্ট কম্পাউন্ডের গান্ধী মূর্তিতে মালা দিয়ে সংকল্প যাত্রা শুরু করেন সাংসদ। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী সহ অন্যান্য নেতারা।

গান্ধী মূর্তিতে মালা দিয়ে সাংসদের পদযাত্রা শুরু হয় কাঞ্চন নগরের উদয়পল্লী থেকে রথতলা পর্যন্ত। তার আগে সাংসদ যান কঙ্কালেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে। মন্দিরে গিয়ে দেখেন তালা ঝুলছে। এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তিনি। সাংসদ অভিযোগ করেন, তিনি আসবেন বলে আগে থেকেই তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানিয়ে দেন, শনিবার ফের তিনি আসবেন পুজো দিতে। আলুওয়ালিয়া বলেন, মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মদিবস উপলক্ষে দেশ জুড়েই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

গান্ধীজীর অহিংসা নীতিকে ব্যবহার করে হিংসার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, গান্ধীজীর আদর্শ স্বচ্ছ ভারতকে গত ৫ বছরে মোদিজী রূপায়িত করেছেন। প্রত্যেক বাড়িতে টয়লেট তৈরি করে দিয়েছেন। আগামী দিনে জল সংরক্ষণ, বৃক্ষ রোপণ সহ ২০২২ সালের মধ্যে প্রত্যেক ছাদহীন ব্যক্তির মাথায় ছাদ তৈরি করে দেবার উদ্যোগ নিয়েছেন।

মানুষকে নিরোগ করতে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করেছেন। আলুওয়ালিয়া বলেন, সন্ত্রাস শেষ কথা নয়, গান্ধীজির অহিংসাই শেষ কথা – এটাই সংকল্প যাত্রায় তুলে ধরা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.