মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গিয়া শরণার্থীদের স্বাগত জানালেও, আপত্তি আফগানিস্তানের তালিবানের হাতে মার খাওয়া নিরীহ আফগান শরণার্থীদের কিছুদিনের জন্য হলেও ও আশ্রয় দিতে নারাজ বাংলাদেশ।
এই ব্যাপারে বাংলাদেশ আমেরিকার অনুরোধ ও ফেরালো। গত রবিবার তালিবান কাবুল দখল করার পর দেশ ছেড়ে পালাবার হিড়িক পড়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায় আমেরিকান কারগো বিমানে চড়ে দেশ ছেড়ে পালাবার সময় বিমান থেকে পরে যাচ্ছে লোকেরা।
বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী ড: এ কে আব্দুল মোমেন সাফ জানান বাংলাদেশ আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে অপারগ এবং এই ব্যাপারে আমেরিকার অনুরোধ রাখা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ অবশ্য ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে যে তালিবানি শাসনকে তারা স্বীকৃতি দিতে পারে।
বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক বলেই দিয়েছে যে আফগানিস্তানকে সহযোগী হিসেবে দেখতে চায় ওই দেশ। কিছু বিষয় যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, পরিবেশ বিষয়ে আফগানিস্তানের সাথে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এই বিষয়ে বলা যেতে বাংলাদেশের এই তালিবান সখ্যতা ভারতের জন্য ভালো সংকেত নয়, কারণ তালিবানের কাবুল দখলে ভারতে ও বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা আনন্দ প্রকাশ করতে পিছপা হচ্ছে না। স্ট্রেটেজিক এনালিস্টদের মতে তালিবানের উত্থানে উপমহাদেশের ইসলামকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় মেরুকরণ এক নতুন মাত্রা পাবে যা অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক প্রসার ও ধর্মনিরপেক্ষ ভাবধারার পরিপন্থী।
In Brief: Bangladesh has dropped enough hint that it may recognise Islamic Emirates of Afghanistan. Bangladesh foreign minister AK Abdul Momen said his country is not ready to shelter Afghan refugees and has rejected US request in this regard. Bangladesh’s pro-Taliban stance certainly does not augur well for India.