গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ২১ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ( Mamata Banerjee) কনভয় দেখে কয়েকজন এলাকাবাসী ‘জয় শ্রী রাম” স্লোগান দেয়। আর সেই স্লোগানের ফল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী রেগে লাল হয়ে গাড়ি থেকে নেমে গুন্ডাদের মত আচরণ করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী গাড়ি থেকে নেমেই যারা ওই স্লোগান দিচ্ছিল তাঁদের দিকে তেড়ে যায় এবং তাঁদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পালাচ্ছিস কেন? হরিদাস পাল” উনি এখানেই চুপ থাকেন না। উনি আরও বলেন ‘দেখেছেন কেমন গালাগালি দিচ্ছে”। যদিও ওনার এই শেষের বক্তব্যকে বিকৃত বলে বিবরণ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এই ঘটনার পর পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আর পুলিশ এই ঘটনার পর তিন বিজেপি কর্মী সীতারাম মিদ্দা, সায়ন মিদ্দা ও বুদ্ধদেব দোলুই কে আটক করে। তাছাড়াও বিজেপির অভিযোগ অনুযায়ী, এই ঘটনার পর বিজেপির এক নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চালায় তৃণমূলের গুণ্ডারা। এই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল এবং তীব্র নিন্দার শিকার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
তাছাড়াও এই ঘটনার পর নিন্দায় সরব হয়েছে হিন্দু সংগঠন VHP। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পূর্বাঞ্চলের শীর্ষ নেতা সচিন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, ‘ দেশ যখন পরাধীন ছিল, তখন ব্রিটিশদের সামনে কেউ ‘বন্দেমাতরম” ধ্বনি তুললে তাঁরা রেগে যেত, গ্রেফতার করে ভারতীয়দের উপর পাশবিক অত্যাচার চালাত ব্রিটিশ শাসকেরা। এখন সেই একই জিনিষ স্বাধীনতার পরেও চলছে। এই বাংলায় ‘জয় শ্রী রাম” বললেই এখন রেগে লাল হয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। গ্রেফতার করা হচ্ছে যারা এই স্লোগান দিচ্ছে।”
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সচিন্দ্রনাথ সিনহা আরও বলেন, ‘ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী গাড়ি থামিয়ে স্লোগান কারীদের উদ্দেশ্যে বলছে, আমাকে গালিগালাজ করা হচ্ছে। ভগবান শ্রী রাম হিন্দুদের কাছে মর্যাদা পুরুষোত্তম। প্রতিটি হিন্দু পরিবারেই মর্যাদা পুরুষোত্তম পুজিত হন। তাহলে ওনার স্লোগান তুলে কেন মানুষ গ্রেফতার হবে? আর কেনই বা বলা হবে আমাকে গালিগালাজ করা হচ্ছে।”
উনি বলেন, এই ঘটনার পর শুধু বাংলার না, গোটা দেশের হিন্দুদের অপমান করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উচিৎ সর্বসমক্ষে গোটা হিন্দুদের কাছে ক্ষমা চাওয়া।