যদি আপনি ভাবেন যে এই দুঃসাহস প্রথমবার হয়েছে, তাহলে আপনি সম্পূর্ণ ভুল। এই কোম্পানি হিন্দুদের বিরুদ্ধে তেমন ভাবেই কাজ করে, যেমন ওয়েসি, জঙ্গি আর পাকিস্তান করে। দোলের আগে কুম্ভের সময় হিন্দুদের বিরুদ্ধে চরম দুঃসাহস দেখিয়েছিল এই কোম্পানি। তারপর হিন্দুরা ক্ষোভ দেখালেও এরা শুধরায় নি, ‘কে কি করবে?” এই নীতি নিয়ে আবার হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমে পরল ‘হিনুস্তান উইনিলিভার”
যেই কুম্ভ পবিত্র সনাতন ধর্মের প্রতীক, যেই কুম্ভ ভারতের সাংস্কৃতিক নিদর্শন গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরে, যেই কুম্ভের জন্য হিন্দুরা একত্রিত হয়ে নিজেদের সুখ দুঃখ ভাগ করে নেয়, ওই কুম্ভের বিরুদ্ধে দুঃসাহস দেখিয়েছিল এই কোম্পানি। পবিত্র কুম্ভের বিরুদ্ধে জঙ্গিরা তো ষড়যন্ত্র করেই, কিন্তু এই কোম্পানি জঙ্গিদের এককাঠি উপরে গিয়ে এরকম ষড়যন্ত্র করল যে, হিন্দু সমাজ সেটা আর সহ্য করতে পারল না।
টুইটারে একটি ট্রেন্ড চলছে যেটা দিয়ে হিন্দু সমাজ নিজেদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করছে। আর সেই ট্রেন্ড হল, #BoycottHindustanUnilever। এই কোম্পানি নিজেদের চা ‘রেড লেবেল” বেচার জন্য পবিত্র কুম্ভকে নিজেদের নিশানায় নিয়ে নিয়েছে। এই সেই অসভ্য পরম্পরা যা নিয়ে গোটা হিন্দু সমাজকে আগাগোড়াই নিশানা করা হয়। হিন্দু দেব, দেবী আর হিন্দু সংস্কারের উপর নির্ভর করে এই কোম্পানি অনেক টাকা কামিয়েছে।
হিন্দুস্তান ইউনিলিভার এর তরফ থেকে অফিসিয়ালি ভাবে এক ভিডিও টুইট করা হয়, যেখানে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে, হিন্দু যুবকেরা তাঁদের বৃদ্ধ মা, বাবাকে কুম্ভ মেলায় ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। আর ভিডিওর শেষে দেখানো হয় যে, সব বৃদ্ধরা একসাথে বসে চা খাচ্ছে।
হিন্দু প্রথা অনুযায়ী বড়দের সন্মান আর ছোটদের ভালোবাসা দেওয়া হয়। আর ওই ভিডিওর মাধ্যমে হিন্দু পরিবারের মধ্যে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আপাতত গোটা হিন্দু সমাজ এই ব্যাপার নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ, আর এরজন্য তাঁরা এই কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।