ফেব্রুয়ারি মাসে নিজের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ফের ভোটের পরে নিজের রেডিও অনুষ্ঠানে দেশের মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন মোদী। নিজের কথা মতোই দ্বিতীয়বারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রবিবার নিজের প্রথম মন কি বাত অনুষ্ঠানে এলেন মোদী। বললেন, তিনি জানতেন তিনি জিতবেন। কারণ দেশের মানুষের উপর তাঁর বিশ্বাস ছিল।
রবিবার অনুষ্ঠানের শুরুতেই মোদী বলেন, “গত ফেব্রুয়ারিতে যখন আমি বলেছিলাম, কয়েক মাস পরে ফের আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে, তখন অনেকেই বলেছিলেন আমি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু দেশের মানুষের উপর আমার সবসময় বিশ্বাস ছিল।” গত কয়েকদিনে এই রেডিও অনুষ্ঠানের জন্য মানুষের কাছ থেকে অনেক চিঠি ও ফোন পেয়েছেন তিনি, এমনটাই এ দিন বলেন মোদী। তিনি বলেন, “এই ক’মাসে অনেকে আমাকে চিঠি লিখেছেন ও ফোন করেছেন। কিন্তু কেউ কোনও অভিযোগ করেননি। গত পাঁচ বছরেও আমি কারও কাছ থেকে কোনও অভিযোগ পাইনি। এটা ভাবা যায়? মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখছেন, কিন্তু তাঁদের জন্য নয়, দেশের জন্য। এই দেশের মানুষ এতটাই মহান।”
উনিশের লোকসভায় ৬১ কোটির বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন। এই সংখ্যা নিয়ে উচ্ছ্বসিত মোদী। তিনি বলেন, “এই সংখ্যাটা হয়তো কম মনে হতে পারে, কিন্তু চিন ছাড়া বিশ্বের যে কোনও দেশের মোট জনসংখ্যার থেকেও এটা অনেকটা বেশি। ২০১৯ লোকসভায় যত সংখ্যক মানুষ ভোট দিয়েছেন, সেই সংখ্যাটা আমেরিকার জনসংখ্যার দ্বিগুণ ও গোটা ইউরোপের জনসংখ্যার থেকে বেশি।”
এ দিনের মন কি বাত অনুষ্ঠানে মোদী মূলত দেশের জলের সমস্যা নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে নিজের বক্তব্য রাখেন। তিনি আবেদন করেন, জলের অপচয় রোধ করে কীভাবে বেশি পরিমাণ জল সঞ্চয় করা যায়, সেই চেষ্টা যেন সবাই করেন। মোদী বলেন, “গত কয়েক মাসে অনেকেই চিঠি লিখে দেশের জল সমস্যা নিয়ে নিজেদের মতামত বলেছেন। আমার ভেবে ভালো লাগছে, দেশের মানুষ এই ব্যাপারে ভাবছেন। আমি জলের সঞ্চয় করার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে সব গ্রাম প্রধানদের চিঠি লিখে বলেছি। এ ছাড়াও গ্রামীণ এলাকায় কীভাবে জল সঞ্চয় করা যায়, সে দিকেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।” অবশ্য প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, জল সঞ্চয় করার কোনও নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই। এলাকা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।