সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ও এরই সাথে চীনের সাথে মোকাবিলা করার জন্য তৈরী হলো আমেরিকা(USA) , ইউনাইটেড কিংডম(UK) ও অস্ট্রেলিয়ার(Australia) যৌথ স্ট্রাটেজিক পার্টনারশীপ গ্ৰুপ ” অকুস “(AUKUS)।
এই অকুস (AUKUS) এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর যৌথ মহড়া , ইন্টেলিজেন্স এর আদানপ্রদান , যৌথ অস্ত্র ও সেনা সম্ভার বাড়ানোর উদ্যোগ ইত্যাদি করার বিশদ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বহু বছর পর এই প্রথম প্রতিরক্ষা খাতে এত বিপুল পরিমান অর্থ খরচ করবে অস্ট্রেলিয়া(Australia)।
অস্ট্রেলিয়ার এডিলেডের শিপইয়ার্ডে মার্কিন ও অস্ট্রেলিয়ার যৌথ উদ্যোগে নিউক্লিয়ার সাবমেরিন(nuclear submarine) তৈরী হওয়ার পরিকল্পনাও পাকা।
এদিকে কুসের এই পরিকল্পনায় বেজায় চটেছে চীন (China) , খুশি নয় পাকিস্তানও (Pakistan)।
চীন সাউথ চায়না সমুদ্রে (South China Sea) কেউ খবরদারি করুক তা কিছুতেই চায় না।
অন্যদিকে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আই এস আই (ISI) এর মতে অকুস এর সাথে গোপন সম্পর্ক আছে ভারতের এবং ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র ‘(RAW) সি আ ই এ(CIA) , এম আই 6(MI 6) ও অস্ট্রেলিয়ান সিক্রেট সার্ভিস (Australian Secret Service) এর সাথে নিবিড় সম্পর্ক রেখে চলছে।
চীনের মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সও(Chinese Military Intelligence) এই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে একপা এগিয়ে বলছে যে অকুসের সাথে গোপনে ভারত ছাড়াও আছে জাপানও(Japan)।
সূত্রের খবর এই যে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহেই নেপালের (Nepal) সাথে যৌথ যুদ্ধ মহড়া করবে ভারত এবং অক্টোবর মাসের শেষেই অস্ট্রেলিয়ার নৌ বাহিনীর (Australian Navy) সাথে যৌথ যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নেওয়ার কথা। এদিকে ইসরো (ISRO) সূত্রে খবর খুব শীঘ্রই ইসরো এমন একটি বড়ো যুদ্ধ জাহাজ বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছে যেখান থেকে হেভি লিফ্ট রকেট (Heavy Lift Rocket or HLR) , যার ভর ক্ষমতা হবে প্রায় পাঁচ টন (5 ton) থেকে সাড়ে ১৬ টন(16.5 ton) , উৎক্ষেপণ করা সম্ভব।