কালিয়াচকের পর এবার মালদায় পুলিশ ফাঁড়ি পুড়িয়ে দিল উত্তেজিত মানুষ

কালিয়াচকের পর ফের পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল উত্তেজিত মানুষ। জুয়ার ঠেক থেকে ধৃত এক ব্যক্তির পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়। আর এই মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনায় ইংরেজবাজার থানার অন্তর্গত মিল্কি ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। মৃত ব্যাক্তির নাম আইনুল খান(৫০)। ঘটনায় এলাকায় নামানো হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র‍্যাফ। মিল্কি ফাঁড়ি এলাকায় রয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। ঘটনায় সোমনাথ অধিকারী নামে এক পুলিশ অফিসার আহত হয়। আহত পুলিশ অফিসার বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

২৯১৬ সালের ৩ জানুয়ারি কালিয়াচক থানা পুড়িয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত মানুষ। এবার ইংরেজবাজার থানার অন্তর্গত মিল্কি ফাঁড়ি পুড়িয়ে দিল উত্তেজিত মানুষ।

জানাগেছে, গতকাল রাতে ভগবানপুরে এক জুয়ার ঠেক থেকে আইনুল খান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। মারের চোটে তাঁর মৃত্যু হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কয়েকশ মানুষ রাত ১১টা নাগাদ পুলিশ ফাঁড়িতে চড়াও হয়। ব্যাপক ভাঙ্গচুর চালায়। পুলিশের গাড়ি এবং সাইনবোর্ডও ভেঙ্গে দেয়। এরপর আগুন ধরিয়ে দেয় ফাঁড়িতে। সেই সময় ফাঁড়িতে পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়ার সহ ৮ জন ছিলেন। তাঁরা দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। অন্যদিকে থানায় চলতে থাকে। উত্তেজিত জনতা ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় সব নথি পুড়ে গেছে। পরে ব্যারাক থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র‍্যাফ এসে অবস্থা সামাল দেয়। আহত হন সোমনাথ অধিকারী নামে পুলিশ কর্মী। পুলিশের পক্ষ থেকে লকআপে মৃত্যুর কথা অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ফাঁড়িতে ওই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

গ্রামবাসীদের বক্তব্য, কোনও অন্যায় করলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু থানায় মারধর করা যায় না।আমরা দেখেছি বিগত দিনে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জুয়াসহ অনেক বেআইনি কাজ কর্ম হয় কিন্তু পুলিশ কোনও সক্রিয়ভাবে ভূমিকা গ্রহণ করে না। এক্ষেত্রে তারা কী করল বুঝতে পারছি না। আমরা দেখেছি এই এলাকার প্রশাসন বিনা কারণে মানুষদের তুলে নিয়েছে এবং তাদের সঙ্গে প্রচুর আর্থিক লেনদেন করে। এমনকি বেআইনি গোপন তথ্য দিলেও সেখানে গিয়ে তারা টাকা নিয়ে আসে। যার ফলে কোনও কাজ হয় না। আমরা চাই এখানে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকুক। মানুষ সুষ্ঠুভাবে বসবাস করুক।

মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মোস্তাকিম আলম বলেন, মৃত্যুর মতো ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। দোষ করলে তাঁকে গ্রেফতার করবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু তাঁকে মারধোর করে মেরে ফেলবে, এটা কখনোই মেনে নেঈয়া যায় না। আমরা পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। সমস্ত বিষয় বিধানসভায় তুলে ধরব।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ঘটনার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।ঘটনায় এলাকায় নামানো হয়েছে বিশাল রেফ বাহিনী। মিল্কি ফারি এলাকায় রয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। এলাকায় নামানো হয়েছে বিশাল র‍্যাফ বাহিনী। আজও মিল্কি ফারি এলাকায় রয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.