ডোকলাম নিয়ে তীব্র উত্তেজনার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সফর শুরু করবেন প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভুটানে। সেই উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হল বজ্র ড্রাগনের দেশকে। ভুটানি সংবাদ মাধ্যম বিবিএস জানাচ্ছে, দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পারো।১৭ অগস্ট সেখানেই বরণ করা হবে মোদীকে। এছাড়া পারো-থিম্পু মহাসড়কের সর্বত্র জারি হয়েছে নিরাপত্তার বলয়। ১৮ অগস্ট সফর শেষে ভারতে ফিরবেন তিনি।
মোদীর সফর উপলক্ষে নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়্যাল ভুটান আর্মি ও রয়্যাল পুলিশের বিশেষ দল। অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটন স্থল পারো। ফলে পর্যটকদের সাময়িক চলাচলে থাকছে কড়াকড়ি। যদিও পূর্ব ঘোষণা অনুসারে আগে থেকেই সবাইকে এই নির্দেশিকা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
মোদীর সফর ঘিরে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলা লাগোয়া বিখ্যাত বাণিজ্যপথ ফুন্টশোলিং ও জয়গাঁয় বাণিজ্য বন্ধ থাকছে। পর্যটকদের যাতাযাতেও থাকছে বিধি নিষেধ। ফুন্টশোলিং ভুটানের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, ১৭ অগস্ট পারো পৌঁছবেন মোদী। সেখানেই তাঁকে বরণ করবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শোরিং। সদ্য এই দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে। আর ভারতে দ্বিতীয়বারের জন্য টানা ক্ষমতায় থেকে গিয়েছে বিজেপি। মোদী প্রথম দফায় ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রথম বিদেশ সফরটি করেছিলেন ভুটানেই।
চিন ও ভারতের মাঝে থাকা একচিলতে পার্বত্য ভূখণ্ড তথা ড্রাগনভূমি হল ভুটান। তিনটি দেশের সীমান্তে রয়েছে ডোকলাম মালভূমি। এই এলাকায় চিনা সেনার উপস্থিতি নিয়ে বেজিং ও নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সম্পর্কে আলোড়িত হয়েছিল আন্তর্জাতিক মহল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভুটান সফরে গিয়ে প্রতিবেশী চিনকে কিছু বার্তা দেবেন মোদী। সেই দিকেই লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। এইদিকে লক্ষ্য রাখছে অপর প্রতিবেশী চিন।
এদিকে থিম্পুর কূটনৈতিক মহল জানাচ্ছে,ভুটানের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ বন্ধুত্ব রয়েছে।সেই কারণে চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অবস্থায় কিছু ভারত বিরোধী মনোভাব তৈরি হয়েছে।উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে ভুটানকে আরও জড়িয়ে নেওয়াই দরকার ভারতের।
এএনআই জানাচ্ছে, পারো থেকে থিম্পু পৌঁছনোর পরে বিখ্যাত তাশিচো জং রাজবাড়িতে মোদীকে স্বাগত জানাবেন রাজা জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক ও রানি জেতসুন পেমা। এরপর রাজকীয় ভুটান বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। তারপরে থিম্পু-নয়াদিল্লি কয়েকটি মৌ সাক্ষরিত হবে।