ছত্তীসগড়ের সুকমায় সাতসকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই মাওবাদীদের। সংঘর্ষে নিহত এক মহিলা মাওবাদী। পুলিশ জানিয়েছে, গুলির লড়াইয়ে আরও কয়েক জন মাওবাদীর খতম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জখমও হয়েছে কয়েক জন। জঙ্গলের ভিতরে পড়ে থাকা চাপ চাপ রক্তের দাগ দেখে সেটাই প্রাথমিক ভাবে অনুমান সেনা-পুলিশের। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র।
ছত্তীসগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে ডাব্বাকোনটা গ্রামে মঙ্গল ভোর ৬টা নাগাদ শুরু হয় গুলির লড়াই। ছত্তীসগঢ়ের ডিআইজি (অ্যান্টি-নকশাল অপারেশনস) সুন্দররাজ পি জানিয়েছেন, এ দিন ভোরে ওই গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে তল্লাশি অভিযানে বেরিয়েছিল সিআরপিএফ-এর কোবরা বাহিনী, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। জঙ্গলের ভিতরেই মাওবাদী ক্যাম্প চিহ্নিত করে এলাকা ঘিরে টহল দিতে শুরু করে সেনা জওয়ানেরা। আচমকাই তাদের লক্ষ্য করে এলাপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাবাহিনীও। গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলা মাওবাদীর।
ডিআইজি জানিয়েছেন, মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার পরনে ছিল জলপাই রঙা পোশাক, হাতে ইনসাস রাইফেল। আরও কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল চারধারে। সেগুলোও উদ্ধার করেছে সেনা জওয়ানেরা।
সেনা সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলে রক্তের দাগ দেখে মনে হয়েছে, আরও কয়েক জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে গুলির লড়াইতে। তবে সেই দেহগুলির এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। ডিআইজি সুন্দররাজ বলেছেন, “এই সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।”
মে মাসেই ছত্তীসগড়ের দন্তেওয়াড়ায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছিল দুই মাওবাদী। নিহতদের মধ্যে ছিল এক মহিলাও।