জোম্যাটো ট্রেনিং এ এরকম বলা হয় – কেউ বিফ অর্ডার দিলে সেটা পৌছে দিতে হবে কিন্তু, কেউ পর্ক অর্ডার করলে এভয়েট করা যাবে

আপনারা কেউ কোনোদিন রেস্টুরেন্টে বা মাংসের দোকানে বা ফুড এপে নন হালাল মাংস ডিম্যান্ড করে দেখেছেন?যদি না দেয় তবে লিখিত অভিযোগ করেছেন?

জোম্যাটো জনৈক ভদ্রলোকের টুইট রিটুইট করেছে, যিনি দাবি করেছেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী ডেলিভারিম্যান আসার কারণে খাবারের ডেলিভারি বাতিল করেছেন। সেই ট্যুইটের রিট্যুইট করে জোম্যাটো লিখেছে, ফুড হ্যাজ নো রিলিজন। অতি সত্য কথা। খাবারের আবার ধর্ম কী? জোম্যাটোর জন্য দুশো হাততালিইই…ই-ই-ইক!

একশো পঁচানব্বইটা হাততালি বাতিল, কারণ জোম্যাটোর সাইটে দেখা যাচ্ছে বড় বড় করে বিজ্ঞাপন দেওয়া রয়েছে, রেস্টুরেন্টস ইন বেঙ্গালুরু সার্ভিং হালাল, রেস্টুরেন্টস ইন হায়দ্রাবাদ সার্ভিং হালাল, রেস্টুরেন্টস ইন নয়ডা সার্ভিং হালাল…. এবং এরকমই আরো বেশ কিছু এলাকা। এখানেই শেষ নয়, এরপর খাবারের ধর্ম নেই বলে বাণী দেওয়া কোম্পানির তরফে বক্তব্য: “Restaurants shown below serve Halal to the best of our knowledge, you’re still advised to call the restaurant and confirm. If you notice a discrepancy, please help us fix it”, অর্থাৎ কিনা এইবেলা খাবারের যে শুধু ধর্ম আছে তা-ই নয়, সে ধর্মের বিচার করতে বাই চান্স ভুলভ্রান্তি হয়ে গেলে আমাদের জানান জনাব, আমরা অতীব অভাজন, অবশ্যই সেই ভুল শুধরে দেব।

হালাল খাবারে ব্যবহৃত মাংসের জন্য পশু জবাই করার একটি বিশেষ পদ্ধতি, ইসলামী শাস্ত্রে যার অনুমোদন আছে। তার নানা ফ্যাকড়া আছে, জবাই করার আগে পশুকে কাবার দিকে মুখ করে রাখা গেলে ভালো হয়, বিসমিল্লাহ বলে জবাই করতে হবে, তৎপরে “The conventional method used to slaughter the animal involves cutting the large arteries in the neck along with the esophagus and trachea with one swipe of a non-serrated blade. Care must be taken that the nervous system is not damaged, as this may cause the animal to die before exsanguination has taken place. During the swipe of the blade, the head must not be decapitated. While blood is draining, the animal is not handled until it has died.” পুণ্যপুস্তক এ বাবদে কড়া কড়া নির্দেশ দিয়ে রেখেছে (৫:৩, ৬:১২১)। অর্থাৎ কিনা, হালালের বেলা খাবারে ধর্মের গন্ধ ভুরভুর করছে।

প্রগতিশীল জোম্যাটো অবশ্য এখানে সপাটে জানাতে পারেননি, ফুড হ্যাজ নো রিলিজন। অবশ্য করলেও বিশেষ হাততালি যে জুটত, এমন নয়। কারণ সকলেই শক্তের ভক্ত এবং নরমের যম। ফলে আসুন, আমরা সকলে রাগারাগি না করে জোম্যাটোর পাশে দাঁড়াই। খাবারের কোনো ধর্ম নেই। পথে-ঘাটে, দোকানে-বাজারে, জোম্যাটো-সুইগিতে সর্বদা হালাল নয়, এমন মাংস দাবি করুন। আফটার অল, ফুড হ্যাজ নো রিলিজন।

#say_no_to_halal
#food_has_no_religion

(ফেসবুক থেকে সংগৃহিত)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.