সাহিত্য এবং শিল্পী জগৎ থেকে ৯০৭ জন সেলিব্রেটি একজোট হয়ে জনতার কাছে নরেন্দ্র মোদীর জন্য ভোট চাইলেন। ওই ৯০৭ জনের তালিকায় ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল ভোকালিস্ট পণ্ডিত জসরাজ, লোকগীতি গায়িকা মালিনি অবস্থি, অভিনেত্রী পায়েল রোহতগি, কোয়েনা মিত্র, পল্লবী জোশি। অভিনেতা বিবেক ওবেরয়, রাহুল রয়, মুকেশ খান্না, গজেন্দ্র চৌহান। গায়ক অভিজিৎ, হংস রাজ হংস, অনুরাধা পাড়োয়াল। সঙ্গীতজ্ঞ শঙ্কর মহাদেবন এর মত নামিদামি শিল্পির নাম আছে।
শিল্পী জগৎ এর নামিদামি শিল্পীরা সার্বজনীন ভাবে একটি বক্তব্য জারি করে দেশের জনতার কাছে আবেদন করে বলেন, ‘ সাহিত্য এবং শিল্পী জগৎ এর সাথে যুক্ত সবাইকে আমরা আহ্বান করছি যে, দেশের সমস্ত নাগরিক কোনরকম চাপে না পড়ে নতুন সরকার বেছে নেওয়ার জন্য নিজদের ভোট যেন অবশ্যই দেয়।”
ওনারা আরও বলেন, ‘ আমাদের ধারণা এটাই যে, বিগত পাঁচ বছরে দেশ এমন এক সরকার দেখেছে যে, দুর্নীতি মুক্ত সুশাসন আর উন্নয়ন মূলক প্রশাসন দিয়েছে। আর এই সরকারের আমলেই গোটা বিশ্বে ভারতের নাম উজ্বল হয়েছে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার এবারও শাসনে থাকবে।”
ওনারা আরও বলেন, ‘ দেশে এখনো সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জের সন্মুখিন, তাই দেশে একটি মজবুত সরকার চাই। আমরা চাইনা দেশে ‘মজবুর” সরকার আসুক। আর এর জন্যই বর্তমান সরকারের ক্ষমতা টিকে থাকা আরও আবশ্যক।”
আপনাদের জানিয়ে রাখি, নির্বাচনের আগের বলিউড দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। একদিকে এক শ্রেণীর আর্টিস্টরা বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আরেকদিকে আরেক শ্রেণীর আর্টিস্ট যারা বিগত পাঁচ বছরে বর্তমান সরকারের থেকে কোন পুরস্কার পায়নি। তাঁরা নরেন্দ্র মোদীর বিপক্ষে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, যারা নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে কথা বলেছেন, তাঁদেরও নরেন্দ্র মোদী কোন পুরস্কার দেননি। কেন্দ্র সরকার বিগত পাঁচ বছরে সিনেমা জগৎ এ পুরস্কার না দিয়ে, দেশের কর্মঠ ব্যাক্তিদের যেমন ডাক্তার, কৃষক, সমাজসেবী, সেচ্ছাসেবকদের পুরস্কার দিয়েছে। আর কংগ্রেস আমলে নানারকম পুরস্কার ও সন্মান পাওয়া আর্টিস্টেরা এবার নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে পুরস্কার না পাওয়ার জন্য মোর্চা খুলে নিয়েছে।