৫.৩ তীব্রতার ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠেছে মিজোরাম (Mizoram)। শেষ ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয় ভূমিকম্প এবং বৃহস্পতিবার থেকে তৃতীয় কম্পন হয়েছে। প্রথমে ক্ষয়ক্ষতি বোঝা না গেলেও পরে জানা গিয়েছে বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এই রাজ্য।
জানা গিয়েছে, একের পর এক বাড়িতে বড় ফাটলের পাশাপাশি রাস্তাতেও বড়বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে প্রাণহানির কোন খবর পাওয়া যায়নি।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে জানা গিয়েছে, মিজোরামের ছাম্পাই জেলা থেকে ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এই কম্পনের উৎসস্থল।
জুনের ২১ তারিখ অর্থাৎ রবিবার অসমের গুয়াহাটি সহ একাধিক জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রতিবেশি রাজ্য মেঘালয়, মণিপুর এবং মিজোরামেও তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে। রবিবার বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটে এই কম্পন হয়েছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ৫.১। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু মিজোরামের আইজল জেলা বলে জানা গিয়েছে।
জুনের ১৮ তারিখ ভূমিকম্প কাঁপিয়ে দিয়েছে দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে। এদিন রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫। ভূমিকম্পের তীব্রতা মাঝারি হলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে গোটা উত্তর-পূর্বেই। মিজোরাম রাজ্যের চাম্পাই জেলায় ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮০ কিলোমিটার ভেতরে কম্পনের উৎসস্থল বলেই জানিয়েছে স্থানীয় সিসমিক সেন্টার।
সোমবারের ভূমিকম্পে রাজ্যের একাধিক জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়েছে, যার উৎসস্থল ভারত-মায়ানমার সীমান্ত অঞ্চল ছাম্পাই, তাঁদের মধ্যে রয়েছে আইজল।
একাধিক বড় বিল্ডিং, চার্চ, হাইওয়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ফাটল দেখা গিয়েছে সোমবারের ভুমিকম্পে। তবে পুরোপুরি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার থেকে তিনবার ভূমিকম্প হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মিজোরামে। মাঝারি তীব্রতার হলেও এত কম ব্যবধানে বারবাড় ভূমিকম্পে বাড়ছে আতঙ্ক। এই অবস্থায় মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদী এ বিষয়ে একটি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার ভূমিকম্প পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।